বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

শ্রিংলার সঙ্গে কী কথা জনগণকে জানানো উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রিংলার সঙ্গে কী কথা জনগণকে জানানো উচিত

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা জনগণকে সরকারের জানানো উচিত। এ কথা বলেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি গতকাল সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্র সচিব যে কোনো সময় আমাদের দেশে আসতেই পারেন। কিন্তু তিনি এসে কী কথা বলেছেন, তা ছিল গোপন। কী আলোচনা হয়েছে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিও না। পত্রিকায় যা দেখলাম, তা হলো বন্ধুত্বের যে দুর্বলতা ছিল, তা মেরামত করার জন্য তিনি এসেছেন। তার সঙ্গে কী আলোচনা হলো তা প্রকাশ করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের অবস্থান কী ছিল তাও জনগণের কাছে বর্ণনা করা উচিত। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সরকার কী বলছে বা কী করছে তা জানার অধিকার আছে জনগণের। এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে জনগণকে জানানো হয়নি। এমনকি বহু চুক্তি হয়েছে যেগুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি। গতকাল ছিল জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নজরুল ইসলাম খান সকালে শেরেবাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলীসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- বিএনপি এ আদর্শে বিশ্বাস করে। বিএনপি সমমর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক চায়। যে কারণে তিনি এসে থাকুন না কেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো দেশের স্বার্থ সুরক্ষা করা। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের এ সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের স্বার্থ সুরক্ষা হবে- এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। যেমন পত্রিকায় এসেছে এ সফর আনুষ্ঠানিকতা এটা যেন না হয়।

জিয়াউর রহমান ইতিহাসের ফুটনোট- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ওবায়দুল কাদের একটা দলের সাধারণ সম্পাদক। দুর্ভাগ্য, তার বক্তব্যকে এ দেশের মানুষ রসিকতা বা ভাঁড়ামি বলে মনে করে। জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতা লড়াইয়ের ফুটনোট হন, তাহলে ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতার কিছুই না। এ দেশের মানুষ নিজেদের কানে যাঁর কণ্ঠ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছেন তাঁর নাম মেজর জিয়া।

সর্বশেষ খবর