বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মৌচাকে অবস্থিত ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হাসপাতাল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিপুল পরিমাণ রিএজেন্টসহ সার্জিক্যাল সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স, স্বাস্থ্য অধিদফতর, র‌্যাব-৩-এর সদস্যরা যৌথভাবে অংশ নেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, রোগের নমুনা পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট, টেস্টিং কিট ব্যবহার, সঠিক তাপমাত্রায় রক্ত সংরক্ষণ না করা, অন্য হাসপাতাল থেকে রেগীদের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে প্রতিবেদন দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। ফলে হাসপাতালটিকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানা উচিত তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই মানছে না। প্রচুর ব্যত্যয় আছে। হাসপাতালের চারটি অস্ত্রোপচার কক্ষে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী পাওয়া গেছে। দেখে মনে হয়েছে এই হাসপাতালে কোনো তদারকি নেই। যে যার মতো চালাচ্ছে। এটি শুধু হাসপাতাল নয়, একটি মেডিকেল কলেজও। কিন্তু দেখে মনে হয় না যে এখানে কোনো মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ আছে। এখান থেকে যেসব প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে সবগুলোই ফেইক বলে মনে হচ্ছে। একজন রোগীর ব্যবহারযোগ্য মেডিকেল সামগ্রী তিনজন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করার প্রমাণও মিলেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যেসব ভুলত্রুটি আছে তা সাত দিনের মধ্যে সংশোধনের সময় দেওয়া হয়েছে। তা না হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। কভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম, তা না মানা হলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ব্যবস্থা নেবে, প্রয়োজনে বন্ধ করেও দিতে পারে। অভিযান শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, এই হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের যে আইসিইউতে রাখা হয়, তার পাশেই মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি, যা কাম্য নয় এবং স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর