বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পেতে পারে জরুরি অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটেনের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে সক্ষম হলে চলতি বছরেই নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া যেতে পারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। গতকাল অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজগুলো দ্রুতগতিতে শেষ হয়, তবেই কেবল আমরা চলতি বছরে নিয়ন্ত্রকদের কাছে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে পারব। এরপর তথ্য-উপাত্ত পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়নের ব্যাপারে একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে। পোলার্ড বলেন, জরুরি মুহূর্তে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত মূল্যায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন যে কাজ করেছে সেটিও প্রমাণ করতে হবে।

স্পুটনিক ভ্যাকসিন নিয়ে ভারত-রাশিয়া আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ : স্পুটনিক ভ্যাকসিনের জন্য রাশিয়া-ভারতের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ শুরু হয়েছে বলে খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। খবরে বলা হয়, গতকাল সকালেই রাশিয়ান প্রতিনিধি ভারত সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার কভিড ভ্যাকসিন স্পুটনিকের তথ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই মস্কোর ভারতীয় দূতাবাস থেকে রাশিয়ার গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছিল।

 চাওয়া হয়েছিল ট্রায়াল ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত তথ্য। আইসিএমআর ও বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের তরফেও ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়। সেই তথ্য এ দিন বিনিময় হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত রাশিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি করছিল, যে দেশগুলোকে রাশিয়া ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তার মধ্যে ভারতও রয়েছে।

জুলাই থেকেই ভ্যাকসিন দিচ্ছে চীন : রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, গত জুলাই থেকে বেশ কয়েকজনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারের প্রধান ঝেং ঝংইউ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মী, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ জরুরি ক্ষেত্রে কর্মরত লোকজনের অনেককেই কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে (ইমারজেন্সি ইউজ) ব্যবহারের জন্য সেই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। সাত দিন ধরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোনো খবর মেলেনি। আর সীমান্ত রক্ষার কাজে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি। তাই তাদের মধ্যে এ রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ঝেং ঝংইউ। ঝেং জানান, ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। ভ্যাকসিন ব্যবহারের পর তা পর্যবেক্ষণও করা হচ্ছে। ঝেং ঝংইউর এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিন ব্যবহারের কথা প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় চীন। তবে কতজনের ওপর কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত কিছু ঝেং অবশ্য জানাননি। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেসিয়াং বলেছেন, ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হওয়ার পর চীন মেকং অঞ্চলের দেশ মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহ করবে।

সর্বশেষ খবর