বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

জালিয়াতি করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জালিয়াতি করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ

গত তিন বছরে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। এর মধ্যে শুধু করোনার ভুয়া সনদ দিয়ে হাতিয়েছেন ৩ কোটির বেশি। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করেছে পুলিশের  অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করে সংস্থাটি। মামলা নম্বর- ২০/১৯৩। মামলায় সিআইডির অভিযোগ, সাহেদ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া বিশ^ব্যাপী কভিড-১৯ মহামারী আকার ধারণ করলে ভুয়া পরীক্ষা এবং জাল সনদ প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সাহেদ তার অপরাধকর্মের প্রধান সহযোগী মাসুদ পারভেজের সহযোগিতায় ‘রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড’ নামে মিউচ্যুয়াল ব্যাংকের উত্তরা শাহ মখদুম এভিনিউ শাখায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন একাউন্ট খোলেন (হিসাব নং-০০৬২০২১০০০৫৯৩৫)। হিসাবটি পরিচালনা করতেন সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও এমডি মাসুদ পারভেজ। সিআইডির অনুসন্ধানে অভিযুক্ত সাহেদের অর্জিত সম্পদের প্রধান উৎস প্রতারণা ও জালিয়াতি বলে বেরিয়ে আসে। অপরাধলব্ধ আয় লেনদেনের সুবিধার্থে তিনি রিজেন্ট হাসপাতাল, রিজেন্ট কে সি এস লিমিটেড ও অন্যান্য অস্তিত্ববিহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৩টি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেছেন। এসব ব্যাংক হিসাব খোলার সময় কেওয়াইসি ফরমে তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান বা স্বত্বাধিকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি মাসুদ পারভেজ অভিযুক্ত সাহেদের পক্ষে ব্যাংক হিসাবগুলো প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করেছেন বলে সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। ওই হিসাবগুলোর লেনদেন পর্যালোচনায় তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নগদ টাকা জমা করা হয়েছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাহেদ ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয়েছে ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং তার মধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে তার হিসাব সমূহে বর্তমান স্থিতির পরিমাণ ২ কোটি ৪ লাখ টাকা। যার মধ্যে ৮০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ পারভেজের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। মোট উত্তোলনের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বর্তমান স্থিতি ৫ হাজার টাকা। সিআইডি জানায়, প্রতারণার অভিযোগে মোহাম্মদ সাহেদ ও তার সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩০টি মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর