মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

৪২ বছরে সবচেয়ে দুঃসময়ে বিএনপি

আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

মাহমুদ আজহার

৪২ বছরে সবচেয়ে দুঃসময়ে বিএনপি

প্রায় এক যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ৪৩ বর্ষে পা দিচ্ছে আজ। ৪২ বছর অতিক্রম করা এ দলটির এখন সবচেয়ে বেশি দুঃসময়। দলের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখ রাজনৈতিক মামলা ঝুলছে। খোদ দলের প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও ৩৭টি মামলার খড়গ। দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায়ও হয়েছে। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও অনেকটাই অনিশ্চিত। বতর্মান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই বছরের বেশি জেলেও ছিলেন তিনি। তবে সরকারের নির্বাহী আদেশে এখন শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য কারামুক্ত তিনি। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অর্ধশত মামলা। এর মধ্যে তিন মামলার সাজা হয়েছে। একটিতে যাবজ্জীবন দন্ড। তারও দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া কঠিন। অবশ্য লন্ডন থেকেই তিনি এখন ভার্চুয়ালে দলের হাল ধরার চেষ্টা করছেন। তবে তার দৃশ্যমান অনুপস্থিতিতে দলে বিভেদ-বিভাজন বাড়ছে। এই মুহূর্তে দলটির সর্বত্রই নেতৃত্বশূন্যতা বিরাজ করছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কোনো আশার আলো দেখতে না পেয়ে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছেন। মাঠপর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডও বন্ধ রয়েছে। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো তৃণমূলের কমিটি গঠন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় সারা দেশে দলটির নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা এই মুহূর্তে সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার উদ্যোগও নেই বিএনপিতে। ক্ষমতার বাইরে থাকা এই সময়ে তৃণমূলে সংগঠন গোছাতে পারেনি বিএনপি। এ কারণে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সক্ষমতা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এ সময়ে দলটির বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্তও ছিল। এখন বিএনপিকে সামনে এগোতে হলে কাউন্সিলের মাধ্যমে দল পুনর্গঠন করতে হবে। তরুণ নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করতে হবে। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, নানা প্রতিবন্ধকতায়ও অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিএনপি এখন শক্তিশালী। দলটির প্রায় ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখের ওপরে রাজনৈতিক মামলা। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এদের অধিকাংশই বিরোধী দলের নেতা-কর্মী। গত ১০ বছরে জেল হেফাজতে মারা গেছেন ৭৯৫ জন মানুষ, গুম হয়েছেন ৬০১ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৮০৬ জন নারী, ১৯৩৪ জন শিশু নির্যাতিত হয়েছে, ১৮ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের ভাষ্য, এত জুলুম-নির্যাতনের পরও বিএনপি সাংগঠনিকভাবেই টিকে আছে। দলটি ভাঙেনি। উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা অন্য দলে যোগ দেননি। মামলায় জর্জরিত হয়েও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি নিঃসন্দেহে সংকটকাল অতিক্রম করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু তিনি এখনো বন্দীই বলা চলে। তাকে সরকার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি দিয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনের চোখে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। সব মিলিয়ে দলটি দৃশ্যমান নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে, এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। তাছাড়া বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার কারণে আগের মতো রাজপথে নামতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। দলটি এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। দলে আরও তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে আসা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে কাউন্সিল করে দল ঢেলে সাজানো। বিশেষ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে দলের নেতা-কর্মীরা নতুনভাবে উদ্দীপ্ত হবেন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি কঠিন দুঃসময় অতিক্রম করছে। তবুও এখনকার বিএনপি অন্য সময়ের তুলনায় বেশি শক্তিশালী। বিএনপি সংগ্রাম করছে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আমাদের শপথ হচ্ছে, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে কারামুক্ত করা। মিথ্যা মামলায় সরকার তাকে জেলে পাঠানোর পরও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। এখানে নেতৃত্বের কোনো সংকট নেই।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের মতে, ‘বিএনপি একটা ঘুমন্ত সিংহের মতো। তবে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম এখন কিছুই নেই। অপ্রত্যাশিতভাবে বিএনপি জন্মের পর থেকেই ত্যাগী কর্মীর সংখ্যা ছিল কম। দলটি ছিল সমর্থকনির্ভর। বিএনপি আগেও জনপ্রিয় দল ছিল। এখনো প্রচ- জনপ্রিয়তা আছে। অনেকেই বলছেন, যতদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন ততদিন পর্যন্ত নেতৃত্বে সংকট ছিল না। তিনি এখন নিজেই অসুস্থ। দলের দ্বিতীয় নেতা দেশে নেই। সবাইকে নিয়ে তার দলে কাজ করার সামর্থ্যরে ব্যাপারেও প্রশ্ন রয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা এখন ভয়াবহ বিপর্যয়ে। সরকারের দমন-পীড়নের শিকার তারা। বর্তমান নেতৃত্বের কারণে হতাশ ও নিষ্ক্রিয় অনেকেই। আগে যখন বেগম জিয়া নেতৃত্বে ছিলেন তখন তার সঙ্গে নেতা ছিলেন, আবদুস সালাম তালুকদার, কে এম ওবায়দুর রহমান, মাজেদুল হক, মতিন চৌধুরী, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, তরিকুল ইসলাম, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও সাইফুর রহমান। রাজনীতিতে প্রত্যেকেই পোড় খাওয়া যোগ্য ও অভিজ্ঞ নেতা ছিলেন। এখন বেগম জিয়ার আশপাশে যারা আছেন তাদের একটি অংশ বয়সের কারণে তাদের সামর্থ্য সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। আরেকটি নেতৃত্ব ওই মানের অভিজ্ঞতা নেই। ওই জায়গায় কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।’

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের সাজা স্থগিতে অসুস্থ খালেদা জিয়া এখন গুলশানের বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাময়িক মুক্তির পরও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে নেতা-কর্মীরা দলীয় নেত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না। স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও তিনি যোগ দিচ্ছে না। তার দীর্ঘ অসুস্থতা নেতা-কর্মীদের ভাবিয়ে তুলেছে। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মামলাজনিত কারণে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয়ে নেতা-কর্মীরা। বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপির প্রাণশক্তি এখন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান এই দলকে প্রতিষ্ঠিত করলেও বিএনপিকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যান খালেদা জিয়া। জনপ্রিয় দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সব কৃতিত্ব বেগম জিয়ার। গৃহবধূ থেকে রাজনীতির কঠিন পথে আসা খালেদা জিয়াই ‘ক্যান্টমেন্টে জন্ম নেওয়া’ বিএনপির জনভিত্তি তৈরি করে দেন। দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে। গঠনতন্ত্রের তিন বছর পর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় পার হয়ে গেছে। সারা দেশে বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক কমিটির মধ্যে মাত্র ৩৪টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি, ২৩টি আহ্বায়ক এবং ১৬টি আংশিক কমিটি রয়েছে। বাকি জেলাতে অনেক বছর আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কমিটিই চলছে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে তরুণদের আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার পর এখন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া তারা হাতে নিয়েছে। পেশাজীবী সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব’ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বকে নিয়ে এগোচ্ছে। যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হলেও তৃণমূল পর্যায় থেকে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর আকস্মিক মৃত্যুতে সংগঠনের কমিটি গঠনের কাজ সাময়িক বন্ধ রয়েছে।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। বিএনপি এখন অনেক গতিশীল হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। জেলা কমিটিগুলো নতুনভাবে হচ্ছে। দলের পুনর্গঠন কার্যক্রম কভিড-১৯ মহামারীর কারণে আটকে আছে। তবে অচিরেই এই কার্যক্রম আমরা শুরু করতে পারব।’

৪২ বছরে বিএনপির পথ চলা : ১৯৭৮ সালে রমনা গ্রিনের সবুজ চত্বরে জিয়াউর রহমান বিএনপির পতাকা উড়ান, শুরু হয় পথ চলা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষদের একমঞ্চে এনে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ গঠন করেন তিনি। এই দীর্ঘ পথে বিএনপিকে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে, দলটি বিভক্তির অপচেষ্টাও হয়েছে কয়েকবার। সেনাপ্রধানের পর রাষ্ট্রপতি হয়ে জিয়াউর রহমান প্রথমে ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গঠন করেন। ১৯৭৭ সালে গঠিত জাগদলের আহ্বায়ক হয়েছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। এরপর জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করে তার সমর্থন নিয়ে জিয়া ওই বছর প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরপর জাগদল, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বাধীন ন্যাপ, আবদুল হালিম-আকবর হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস পার্টি, আবদুল মতিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি ও শাহ আজিজুর রহমানের মুসলিম লীগকে নিয়ে ১৯৭৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির যাত্রা শুরু হয়। জিয়ার  নেতৃত্বে প্রথম ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, শাহ আজিজুর রহমান, ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এস এ বারী এটি, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল হালিম, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মেজর  জেনারেল (অব.) মাজেদ-উল হক, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত, এম সাইফুর রহমান, মাওলানা আবদুল মতিন, কর্নেল (অব.) আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন, আতাউদ্দিন খান প্রমুখ। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়। জিয়া চেয়ারম্যান হন, ১১ সদস্যের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন রাজনীতিতে নবিশ ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ১৯৮১ সালে জিয়ার মৃত্যুর পর বিচারপতি সাত্তার চেয়ারম্যান পদে আসেন, ভাইস চেয়ারম্যান হন খালেদা জিয়া। বছরখানেক পর খালেদা জিয়া চেয়ারম্যান হন। এইচ এম এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হয় বিএনপিকে। এরপর নির্বাচনে হেরে বিরোধী দলের আসনে বসে বিএনপি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফেরে বিএনপি। ২০০৮ সালে ভোটে অংশ নিয়ে ধানের শীষের ভরাডুবির পর ২০১৪ সালের ভোট বর্জন করে বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিলেও সেখানেও ভরাডুবি হয় তাদের। সংসদে তারা ৭টি আসন পায়।

এক দিনের কর্মসূচি : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে দলটি। দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, শেরেবাংলা নগরে দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া বিকালে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশের নেতা, কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর