রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিরাপদ প্রমাণিত

প্রতিদিন ডেস্ক

রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি রাশিয়া এ ভ্যাকসিনের উন্নয়ন ঘটিয়ে ‘শুকনো সংস্করণ’ তৈরি করে আবারও বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স। ‘স্পুটনিক ভি’ সম্পর্কে ল্যানসেট বলেছে, এ ভ্যাকসিন প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। এর কারণে টি-কোষও সক্রিয় হয়েছে। এক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, ৭৬ জনকে করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। ৪২ দিন ধরে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিনের মধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গবেষকদের দাবি, দ্বিতীয় রিপোর্ট পাওয়া যায় ট্রায়ালের ২৮ দিন পর। দেখা গেছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর রক্তে টি-কোষ কোষ সক্রিয় হতে শুরু করেছে। এই টি-কোষ হলো শরীরের মূল সুরক্ষা কোষ। এই কোষ সক্রিয় হলেই ভাইরাস বা প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে ‘অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স’ তৈরি হয় শরীরে। স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হচ্ছে।

ভ্যাকসিনের ‘শুকনো’ সংস্করণ : প্রাণঘাতী  করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল রাশিয়া। এবার সেই টিকার উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বকে আরও একবার নাড়িয়ে দিল পুতিনের দেশ। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য কনভারসেশন, বায়োফার্মাডাইভ, দ্য প্রিন্ট। জানা গেছে, ‘ফ্রোজেন’ সংস্করণের পাশাপাশি টিকার ‘ফ্রিজ ড্রায়েড’ বা শুকনো সংস্করণও  তৈরি করে ফেলেছে ভøাদিমির পুতিনের দেশ। এই ‘ফ্রিজ ড্রায়েড’বা শুকনো টিকা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো যাবে। এটি ‘ফ্রোজেন’ সংস্করণের মতো মাইনাসে সংরক্ষণ করার ঝক্কি নেই। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলেই হবে। অর্থাৎ থার্মোকলের বাক্সে ভরেই বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় পাঠানো যাবে স্পুটনিক ভি এর শুকনো টিকা। বৃহত্তর অংশকে অবশ্য ফ্রোজেন টিকাই দেওয়া হবে, যা ডিপ ফ্রিজে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেশ কয়েক মাস মজুদ রাখা যাবে। ক্রায়ো প্রযুক্তির কেরামতিতে তৈরি এই শুকনো টিকা ডিসটিলড ওয়াটারের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার বহু অঞ্চল মূল ভূখ- থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন। যেসব স্থানে বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া দুষ্কর ওই সব দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দাদের কথা ভেবেই এই ফ্রিজ ড্রায়ার যন্ত্রের মাধ্যমে জলীয় অংশ বের করে দিয়ে সেমি-সলিড পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয় টিকাকে। যাতে অনেক দিন পর্যন্ত সাধারণ ফ্রিজেই মাসাধিককাল রাখা যায় এই টিকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর