রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জানুয়ারিতে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে থাকবেন হাসিনা মোদি

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

২০২১ সালের জানুয়ারিতে পঞ্চম বিমসটেক- বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন- শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। ভারত সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এই তথ্য দিয়েছেন। বিমসটেকের অন্য সদস্যরা হলো মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক আর্থিক ও কারিগরি যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্যই এই উপআঞ্চলিক গোষ্ঠী গঠিত হয়। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব চলতে থাকলে এই শীর্ষ সম্মেলন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে সম্মেলন হবে শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে। বর্তমানে শ্রীলঙ্কা বিমসটেকের সভাপতি। এখন বিভিন্ন দেশ কূটনৈতিক শলাপরামর্শের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের পরিবর্তে সরাসরি মুখোমুখি বৈঠকের পক্ষে মত দিচ্ছেন। শুক্রবার রাতে দিল্লিতে এক ওয়েব আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা স্বীকার করেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সঠিক আলোচনা করা যাচ্ছে না। এমনকি এতে ফাঁস হয়ে যাওয়ার বিপদ থাকে। তিনি বলছিলেন, ‘এই কারণেই আমি ঢাকা উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমায় দেখে অত্যন্ত প্রীত হন।’ এও বলেন, সামনাসামনি আলোচনা করায় অনেক বিভ্রান্তি দূর হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, ‘ঢাকায় গিয়ে ৪০/৫০ জনের সঙ্গে দেখা করেছি। তাতে অনেক সমস্যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে।’ চীনের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক তৃতীয় কোনো দেশের চোখে দেখা ঠিক নয়। বাংলাদেশ আমাদের নিকটতম বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র। সেখানে আমরা এখন পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলার লাইন অব ক্রেডিট ও ঋণ দিয়েছি পরিকাঠামো এবং ছোট সামাজিক প্রকল্প করার জন্য। যাতে মানুষের উপকার হয়। এই নিয়ে ঢাকঢোল পেটানো হচ্ছে না বলেই বিভ্রান্তি।’ শীর্ষ সম্মেলনের পরে বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যান হবেন থাইল্যান্ড আগামী বছরের জন্য। বিমসটেকের বর্তমান মহাসচিব বাংলাদেশের মো. শাহীদুল ইসলামের জায়গায় আসবেন ভুটানের তেনজিন লেকফেল। সচিবালয় থাকবে ঢাকায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর