করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের আরও একটি অধিবেশন। কভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ পাওয়া সংসদ সদস্যরা শুধু নবম অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। এ ছাড়া আজকের নবম অধিবেশনেও অসুস্থ ও বয়স্ক সদস্যদের অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চলমান সংসদের সপ্তম ও অষ্টম অধিবেশনের মতো এবারও রোস্টারের ভিত্তিতে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৯০ জন সদস্য করোনাকলীন সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশনে অংশ নেবেন। অধিবেশন কক্ষের আসনবিন্যাসও আগের দুই অধিবেশনের মতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিন্যস্ত করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও দায়িত্ব পালনের পৃথক রোস্টার করা হয়েছে। এ ছাড়া নবম অধিবেশনও সরাসরি কভার করতে পারছেন না গণমাধ্যমকর্মীরা। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় এবারও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সংসদ কার্ড ইস্যু করা হয়নি। সংসদের অধিবেশন কক্ষ থেকে চলমান অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করবে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন। সেখান থেকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় চলমান সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হবে। সাধারণত কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদসহ প্রশ্নোত্তর পর্ব ও বিল নিষ্পত্তির বিষয়গুলো নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পরামর্শক্রমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিষয়গুলো চূড়ান্ত করছেন। এবারও তা-ই করা হবে। এবারের অধিবেশন ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বা চার কার্যদিবস চলতে পারে বলে জানা গেছে। তবে স্পিকার চাইলে অধিবেশনের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করতে পারেন।