সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

খেলাপি ঋণ বেড়েই চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেলাপি ঋণ বেড়েই চলছে

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। চলতি ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। তবে এসব খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিসহ অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর আওতায় মামলাও করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদলীয় সদস্য মো. মসিউর রহমান রাঙ্গার তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে এসব তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রীর তথ্য থেকে জানা যায়, জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংকের ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৭ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৫৮ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী জানান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত খেলাপি গ্রাহকের নিকট হতে ঋণ আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৬ মে বিআরপিডি সার্কুলারে সহজ শর্তে ঋণ পুনঃতফসিল এবং এককালীন এক্সিটের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকসমূহ ত্রৈমাসিক রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঋণ আদায়ে পিছিয়ে পড়া ব্যাংক সমূহকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে এবং ব্যাংকার্স সভায় ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে সময়ে সময়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৭ হাজার মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি : বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৫৫ দশমিক ৭৩৭ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে তিনটি এলওসি চুক্তির আওতায় সাত দশমিক ৫৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সব ঋণের আওতায় অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যক্তি খাতের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। বগুড়া-৫ আসনের সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে ১৬ হাজার ১টি শুল্ক মামলার বিপরীতে অনাদায়ী রাজস্বের পরিমাণ সাত হাজার ৫৮৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর