চিকিৎসা খাতে প্রতি বছর বিদেশে চলে যাচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা যদি ভালো হতো, উন্নত হতো, তাহলে এত টাকা বিদেশে চলে যেত না। এই টাকা ধরে রাখতে হলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করতে হবে। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ জন অবহিতকরণ’ সভায় এই তথ্য তুলে ধরেন মুখ্য সচিব।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমাদের দেশের গবেষকদের মধ্যে সব সময় সরকারবিরোধী মনোভাব দেখা যায়, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার যেসব পরিকল্পনা হাতে নেয়, সেগুলো বাস্তবায়নও করে। বাংলাদেশের অর্জন কম নয়। আমরা পলিথিনমুক্ত হয়েছি, বিশ্বের সর্বপ্রথম আমরাই জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করেছি। এ রকম অনেক অর্জন রয়েছে। সেগুলো মনে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে সঠিক পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কভিডের কারণে ভারতের অর্থনীতি ২৪ শতাংশ সংকুচিত হলেও বাংলাদেশে তা হয়নি। আমরা রুপালিতে আছি সোনালিতে যাব। বৃহৎ অর্থনীতির কাতারে আমরা আছি।মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভারত ও মিয়ানমার থেকে পাওয়া ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের বিশাল নীল সমুদ্র অর্থনীতি পেলেও এখান থেকে আমাদের অর্জন বলতে এখন পর্যন্ত শূন্য। নীল সমুদ্র অর্থনীতি থেকে সুফল পেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। আমরা বলেছি, এই প্রকল্প ৫০ কোটি টাকা নয়, ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প আনতে হবে। তিনি বলেন, শুধু সমালোচনা নয়, অপেক্ষা করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেক বিষয়ই সমাধানের পথে যাবে।