শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নয়া রেল-বিমান সংযোগে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়বে

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

নয়া রেল-বিমান সংযোগে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়বে

নয়া রেল-বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিজাত প্রস্তুত খাদ্যপণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বে রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে। পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা গতকাল সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভিডিও আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা এবং গৌহাটি বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বিমান ওড়ে। কিন্তু এই যোগাযোগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষ করে সিকিমের গ্যাংটকের সঙ্গে নিকটবর্তী বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের প্রয়াত হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি গ্যাংটকের সঙ্গে সরাসরি বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তখন সিকিম সরকার তাতে সম্মতি দেয়। এখন পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা সেই যোগাযোগের কথাই উল্লেখ করলেন। তিনি এও জানান, পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেল যোগাযোগ চালু হয়ে গেলে পূর্বের শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং ভায়া বাংলাদেশ পুরনো রেলপথ চালু হয়ে যাবে। এর সঙ্গে আগরতলা-আখউড়া রেল চালু হওয়ার অর্থ ১৯৬৫ সালের আগে যে ছয়টি রেল যোগাযোগ ভারত-বাংলাদেশ ছিল সেগুলোর সবকটি চালু হবে। বর্তমানে চারটি পথ চালু।

তিনি এও বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্য ও কৃষিজাত প্রস্তুত খাদ্যপণ্যের অনেক চাহিদা আছে। স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্য আসতে পারে। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়বে। তিনি জানান, ভারত সরকার পণ্য ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য স্থলবন্দর পরিকাঠামো দ্রুত সম্পন্ন করছে। এতে উভয় দেশের মানুষ এই পথে যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ জলপথে যোগাযোগ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এর জন্য ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর তীর বরাবর নতুন ২০টি টাউনশিপ তৈরি করা হচ্ছে। এতে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন বিকাশ হবে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় মানুষের পক্ষে সিকিম ভ্রমণ সহজ হবে। শ্রিংলা বলেন, বিমসটেক মঞ্চে এই দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুয়ার খুলে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর