নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় আবাসিক ও ক্ষুদ্র শিল্পকারখানায় প্রায় ২০ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তিতাস কর্তৃপক্ষ বারবার অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও কোনো সুফল মেলেনি। তারা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দু-এক দিন পরই স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে সংযোগগুলো পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রূপগঞ্জের ভুলতা, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়া, কায়েতপাড়া, ভোলাবো, দাউদপুর, সদর- এ সাত ইউনিয়ন এবং কাঞ্চন, তারাবো পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে। আর এসব সংযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও তিতাসের কিছু অসাধু ঠিকাদারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংযোগের জন্য একজন অবৈধ গ্রাহকের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। এ সংযোগ গ্রহণকারীরা দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে তিতাসের আওতাধীন না থেকে অবৈধ পন্থায় গ্যাস ব্যবহার করছেন। গোলাকান্দাইলের রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমার বাড়িতে গ্যাস সংযোগের জন্য গোবিন্দ নামে একজনকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি, সঙ্গে বাড়ির দলিল, পরচা ও ছবি জমা দিয়েছি। তিনি বলেছেন গ্যাস সংযোগটি বৈধ করে দেবেন। কিন্তু গোবিন্দ সংযোগ বৈধ করে দেননি, তাই অবৈধভাবেই গ্যাস ব্যবহার করছি।’ তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কোনো সংযোগের খবর পেলে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’