সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে শীতে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে শীতে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে চলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। তবে আগামী শীত মৌসুমে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস খারাপের দিকে যেতে পারে। এর জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতারা অনুদান দিতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ অনুদান গ্রহণ করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মোকাবিলায় সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমি কাউকে বাদ দিতে পারব না। সে জন্য হয়তো আমরা এটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সামনে শীত, আরেকটু হয়তো খারাপের দিকে যেতে পারে। তবুও আমাদের এখন থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ব্যাংক যেন ভালোভাবে চলে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বিএবি? নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যত বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি, এতে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষের চাকরি হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই।

তিনি বলেন, আপনারা যখন যে দাবি আনেন, যেটা যুক্তিসংগত সেটা আমরা সবসময়ই বিবেচনা করি। আজকেও বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন, আমি তা দেখব। যদি সেখানে সমস্যা থাকে তবে যাতে সমস্যা আর না হয় তা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, ব্যাংক যেন ভালোভাবে চলে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় মার্জ করাতে হয়। সেটা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে কোনটা ঠিকমতো চলছে। কোনটা ঠিকমতো চালাতে পারছে না। সেগুলো বিবেচনা করেই করা হবে। অবিবেচনা করে কিছুই করা হবে না এটুকু ভরসা রাখবেন। আপনাদের এ অনুদান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে। সেজন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে দেখা হচ্ছে না। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপনারা আমার অফিসে কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সবাই সুস্থ থাকবেন এটাই আমরা চাই। দোয়া করেন দেশটা যাতে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পায়। সারা বিশ্বই যাতে মুক্তি পায়। মানুষের সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে করোনার কারণে। তবুও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। তার জন্য যা যা দরকার তা দিয়ে যাচ্ছি। জনগণের জন্য কাজ করাটাই আমাদের লক্ষ্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতৃত্বে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি অনুদান প্রদান করে। অনুদানদাতা ৩৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো- এবি ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক (বিডি) লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, এসবিএসি ব্যাংক লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড। এ ছাড়া আরও ৮টি সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফুড, এফওএসএ (ফরেন অফিসার্স স্পাউস অ্যাসোসিয়েশন), রাজশাহী মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আর্কিটেক্ট ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এবং মিনিস্টার গ্রুপ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর