শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ছাড় দেব না : সচিব

১২ কর্মচারীর সম্পদের সন্ধানে তদন্ত অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য সচিব এম এ মান্নান বলেছেন, শুধু এক মালেকই নয়, আরও অনেক মালেক আছে। আমরা তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছি। কারও ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেক ওরফে বাদলের ১০ তলা ও ৭ তলা বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর স্বাস্থ্য সচিব এ কথা বলেন। এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২০ জনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদক সূত্র জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী ইস্যু করা হয়েছে এদের মধ্যে রয়েছেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুল হক মুন্সি, তার স্ত্রী রিফাত আক্তার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া, তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার, গাড়িচালক মো. আবদুল মালেক, তার স্ত্রী নারগিস বেগম, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, তার স্ত্রী বিলকিস রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের স্টাফ নার্স রেহেনা আক্তার, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ইমদাদুল হক, তার স্ত্রী উম্মে রুমান ফেন্সী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহমুদুজ্জামান, তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূ হ বিভাগের অফিস সহকারী কামরুল হাসান, তার স্ত্রী ডা. উম্মে হাবিবা, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন। নোটিসে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ধারা ২৬-এর উপধারা (১) দ্বারা অর্পিত ক্ষমতাবলে তাদের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তার অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর