সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক ৭৬ পয়েন্টের বেশি কমে গেছে। দরপতন হয়েছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

জানা গেছে, কভিড সংকটে বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে লেনদেন শুরু হয়। ওই দিনের পর উত্থান পতন হলেও এক দিনের ব্যবধানে এত বেশি সূচক কমেনি ডিএসইতে। গতকাল লেনদেনের শুরুতেই পতনের আভাস পাওয়া যায়। প্রথম আধাঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স               আগের দিনের তুলনায় ৭৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১২ পয়েন্টে নেমে যায়। ৮২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ে। বিপরীতে দাম কমে যায় ২৫৯টি এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনশেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ছিল ৯৩ টাকা ৩০ পয়সা। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। তৃতীয় স্থানে রূপালী ইন্স্যুরেন্স। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল- বেক্সিমকো ফার্মা, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০৯ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৪টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।