বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪৫ কর্মকর্তা কর্মচারীর অস্বাভাবিক লেনদেন

তদন্তে নেমেছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য খাতের সীমাহীন দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোটিপটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে সংস্থাটি। শুধু ড্রাইভার মালেক নয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমন ৪৫ কোটিপতি মালেকের নাম রয়েছে দুদকের তালিকায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী থেকে হাসপাতালের সচিব, কে নেই কোটিপতির তালিকায়। ড্রাইভার, ল্যাব সহকারী থেকে শুরু করে তালিকায় নাম রয়েছে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীও। প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক অর্থ, বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার ও ক্ষমতার অপব্যবহার। রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, স্বাস্থ্য   অধিদফতরের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করছেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে আমরা একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করি। মালেকসহ (স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক) ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে। জানা যায়, দুদক উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষ টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের খোঁজ করা হচ্ছে তারা হলেন- জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাখালী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-২) কবির আহমেদ চৌধুরী ও মো. হুমায়ুন কবীর, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার অফিস সহকারী খাইরুল আলম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক মো. মজিবুর রহমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী রেজাউল ইসলাম, মহাপরিচালক দফতরের সহকারী প্রধান মো. জোবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী এম কে আশেক নওয়াজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই ভবন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার অফিস সহকারী কামরুল হাসান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (ইপিআই) মো. মজিবুল হক মুন্সি, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ইমদাদুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের আলোচিত গাড়িচালক আবদুল মালেক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুজ্জামান, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক এ টি এম দুলাল, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, মুগদা মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক আবদুল্লাহ হেল কাফি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী মো. তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চমান সহকারী মো. ফয়জুর রহমান, রংপুর মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আলিমুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ল্যাব সহকারী আবদুল হালিম ও সুব্রত কুমার দাস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মো. শাহজাহান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের স্টোর কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হাসেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আবদুল মজিদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্টোর ম্যানেজার ইপিআই হেলাল তরফদার, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতারের স্টোর কিপার সাফায়েত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সিনিয়র স্টোর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আবদুল মজিদ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর