বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাহেদ ও স্বাস্থ্যের পরিচালকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) ডা. মো. আমিনুল হাসানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গতকাল দুদকের গঠিত তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধান শেষে কমিশনের অনুমোদনক্রমে এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদক উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নাম আসামির তালিকায় নেই। এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে আদালতের প্রমাণযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আজাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তা যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ পেয়েছেন, তাদের আসামি করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, মামলা তদন্তে যদি আরও কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। দুদকের অনুসন্ধানে এসেছে, আসামিরা অসদুদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করেছেন। এর মাধ্যমে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগীপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তার খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

সর্বশেষ খবর