শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বেসরকারি হাসপাতাল ডাকাতের মতো টাকা নেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি হাসপাতাল ডাকাতের মতো টাকা নেয়

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসা ও পরীক্ষার নামে মানুষের কাছ থেকে ডাকাতের মতো টাকা নেয়। হাসপাতালগুলো বেশি টাকা নিলেও নিজেদের চিকিৎসাবর্জ্য ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করে না। শিগগিরই এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করা দরকার। গতকাল সারা দেশের চিকিৎসাবর্জ্যরে নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসও উপস্থিত ছিলেন। আতিক বলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল মানুষের কাছ থেকে ডাকাতির মাধ্যমে, ডাকাতির মতো করে পয়সা নিচ্ছে। হাসপাতালে ঢোকার আগে পয়সা দিতে হচ্ছে। জমিজমা বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করছে মানুষ। অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করছে বিভিন্ন হাসপাতাল। বিভিন্ন চেকআপের বিল অনেক বেশি। আপনি একটা চেকআপ করতে দেন ইউরিন চেকআপ করেন, ব্লাড চেকআপ করেন, কথায় কথায় চেকআপ হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তাদের যে বিল, তাদের যে হাসপাতালের বিল, তাদের বিভিন্ন পরীক্ষার যে বিল এটি সম্পূর্ণ একটি ডাকাতির মতো। এটি হতে পারে না। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সেবার বিপরীতে বেশি বিল আদায় করলেও নিজেদের চিকিৎসাবর্জ্যগুলো ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করে না। তারা বিল নেবে কিন্তু তাদের বর্জ্যগুলো ঠিকমতো ফেলছে না, এটি মনিটরিং করা হচ্ছে না। যত্রতত্রভাবে তারা তাদের বর্জ্যগুলো ফেলে। আমি নিজে দেখেছি, আমার কাছে ছবি আছে যে বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট করার পরে ইউরিন, ব্লাড, স্টুলের স্যাম্পল রাস্তার ওপর ফেলে দিয়েছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এটিই হলো বাস্তবতা। আইনকেও তারা বৃদ্ধাগুলি দেখাচ্ছে। মেয়র আতিক বলেন, কবে থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোকে যার যার চিকিৎসাবর্জ্য ফেলতে হবে, সেই তারিখ বেঁধে দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

আজকের মিটিং থেকে তারিখ নির্দিষ্ট করে দিন। আমি দেখেছি, সরকারি হাসপাতালের পেছনে খোলা জায়গায় তাদের বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে, এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো পোড়ান না, কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে কখন যে অজান্তে কোন খালবিলে ফেলে দেয় তাও কিন্তু আমরা জানি না। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা অনেক বড়লোক হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তারা তাদের নিয়ম মেনে চলছে না, তাদের একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে। তিনি বলেন, সব কিছুই অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের লাইন অবৈধ, ইলেকট্রিক লাইন অবৈধ, বিলবোর্ড অবৈধ, সাইনবোর্ড অবৈধ, রাস্তার মধ্যে যত ধরনের রড, সিমেন্ট, বালি সবই অবৈধ। এই মিটিং থেকে একটা মেসেজ দেওয়া দরকার যারা অবৈধভাবে একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছে তাদের জন্য মেসেজ। অবৈধ বিলবোর্ড সরাতে অভিযানে নামার পর এখন অনেকেই বিলবোর্ডের বিল দিতে চাচ্ছে। আমার মনে হয় এ রকম সমন্বিতভাবে অভিযান দরকার। গুলশান লেকের পানির অবস্থা খারাপ হওয়ায় এবার মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সেখানে মাছের পোনা অবমুক্ত করা যায়নি। পরে একটি পুকুরে সেই পোনা ছাড়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর