সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ডাকাতি করতে ঢুকে তরুণীকে গণধর্ষণ সাতজন কারাগারে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় বুধবার রাতে ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী তরুণীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে ডাকাতরা। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অস্ত্র, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নুরুল আমিন, বেলাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আবদুল হালিম, শাহিন মিয়া, মো. অন্তর ও আবদুর রশিদ। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায়। চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, ৯ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গণধর্ষণের পাশাপাশি ওই বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে। লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে আসামিদের স্বীকারোক্তির মিল পাওয়া গেছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেওয়া ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অস্ত্র, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কারাগারে বসে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। জামিনে বের হয়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করত। খাগড়াছড়ি থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, আসামিদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। ভিকটিম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান, ভিকটিম সুস্থ আছেন।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম এবং বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় ডাকাতি করতে ঢুকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ করা হয়।

সর্বশেষ খবর