বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চলে গেলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবা

প্রতিদিন ডেস্ক

চলে গেলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবা

কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল সাবাহ আর নেই। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কুয়েত রাজ পরিবার তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তিনি ১৪ বছর কুয়েত শাসন করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে আরব উপসাগরের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতের আমিরের দায়িত্বে ছিলেন শেখ সাবাহ। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত বছরও একবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

২০০২ সালে তাঁর অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয়। এর দুই বছর পর হার্টে পেসমেকার প্রতিস্থাপন ও ২০০৭ সালে মূত্রনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁর ৮৩ বছর বয়সী সৎ ভাই বর্তমান যুবরাজ শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ নতুন আমিরের দায়িত্ব নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আরব উপসাগরে দুই চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছালে উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কুয়েতের আমির। বর্তমান আধুনিক কুয়েতের স্থপতি হিসেবে ভাবা হয় শেখ সাবাহকে। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম পুরস্কার লিজিয়ন অব মেরিটে এবং ডিগ্রি অব চিফ কমান্ডারে ভূষিত করেন।

২০০৬ সালে কুয়েতের তৎকালীন আমির শেখ সাদ আল-আবদুল্লাহর পদত্যাগের পর ক্ষমতায় বসেন শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ। তাঁর আগে তিনি পূর্ববর্তী আমির শেখ জাবের আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগে ১৯৬৩ থেকে ’৯১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতির বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ তেল মজুদকারী দেশ কুয়েত। দেশটির ৪১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩৪ লাখই বিদেশি। ২৬০ বছর ধরে দেশটি শাসন করছে সাবাহ পরিবার। উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কুয়েত। দেশটির রাজনৈতিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা থাকে আমিরের। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের ডাক দেওয়ার ক্ষমতাও তার হাতে।

সর্বশেষ খবর