বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাবরি মসজিদ ভাঙা মামলায় ৩২ আসামির সবাই খালাস

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় রায়ে ৩২ আসামির সবাইকে গতকাল বেকসুর খালাস দিয়েছে ভারতের সিবিআই আদালত। এ মামলায় ৩২ আসামির মধ্যে ছিলেন সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি, সাবেক মন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশী ও উমা ভারতীর মতো বিজেপি নেতারা এবং উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং। এ ছাড়া ছিলেন বিজেপির অভিভাবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতের বিশেষ বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব তার রায়ে বলেন, অভিযুক্তরাই যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেন সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ নেই। তাই তাদের খালাস দেওয়া হলো। বিচারক যাদব গতকালই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা। বিচারক সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২৬ জন উপস্থিত ছিলেন। আদভানি ও যোশী বয়সের কারণে ভিডিও মারফত আদালতে যোগ দেন। উমা ভারতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাম মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিত্য গোপাল দাসও বয়সের কারণে হাজির হননি। বিচারক তার রায়ে বলেন, ‘বাবরি মসজিদ ভাঙার কাজটি পূর্বপরিকল্পিত নয়। বরং অভিযুক্তরা মসজিদ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। ধ্বংসকারীদের মোটেই উৎসাহিত করেননি। তদন্তকারী সংস্থা যে ভিডিও অডিও রেকর্ডিং আদালতে দিয়েছে, তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।’ বিচারক বলেন, ‘যারা মসজিদের গম্বুজে উঠেছিলেন তারা সমাজবিরোধী।’ রায় বেরোনোর পর প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। এ রায়ে আমার রাম মন্দির আন্দোলনের বিশ্বাসেরই জয় হয়েছে।’ তিনি দিল্লির পৃথ্বিরাজ মার্গের বাড়িতে বসে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রথমেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। ছেলে জয়ন্ত আর মেয়ে প্রতিভাকে নিয়ে তিনি বাড়ি থেকেই ভিডিওতে রায় শুনছিলেন। অন্য নেতা মুরলী মনোহর যোশী বলেন, ‘এটা ঐতিহাসিক রায়। এ রায়ে প্রমাণিত হলো ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় মসজিদ ভাঙার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি। এখন সবারই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সমর্থন করা উচিত।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘দেরিতে হলেও স্বস্তির রায়ে আমরা খুশি।’

সর্বশেষ খবর