বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

কিশোরী ধর্ষণে চার্চের ফাদার গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরে গির্জায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ফাদার। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার বিশপ হাউস থেকে প্রদীপ গ্যাগরি (৪০) নামে ওই ফাদারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার মু-ুমালা মাহালীপাড়া এলাকার সাধুজন মেরি ভিয়ান্নি গির্জায় ফাদারের কক্ষ থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ফাদার প্রদীপ গ্যাগরির বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম প্যাট্রিক গ্যাগরি। ওই কিশোরী মু-ুমালা মাহালীপাড়ার বাসিন্দা। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। পরে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন নিখোঁজের বড়ভাই। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের নিয়ে গির্জায় শালিস বৈঠক করেন ধর্মীয় নেতারা। সেখানে কিশোরীকেই ঘটনার জন্য দোষারোপ করা হয়। সেখানে ফাদার প্রদীপকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ধর্মীয় নেতারা। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। রাতে ওই কিশোরীর ভাই ফাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এ টি এম মাইনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পরই তারা গ্যাগরির খোঁজ শুরু করেন। গ্রেফতার এড়াতে প্রদীপ গ্যাগরি বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, গ্রেফতার ফাদারকে গতকাল সকালে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর