রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রদেশের হাথরস শহরে এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে তারা নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লি থেকে রওনা দেন। পথে গ্রেটার নয়দা এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। তখন তারা দুজনই গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে চলেন হাজার হাজার সমর্থক। পুলিশ তখন তাদের দুজনকে আটক করে গাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। তাতে রাহুল রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও পুলিশ একই ব্যবহার করে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। গত মঙ্গলবার ওই কিশোরীর দিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তারপর উত্তর প্রদেশ পুলিশ বাড়ির লোকের অমতে রাতের অন্ধকারে মেয়েটির অন্ত্যেষ্টি করায়। তাতে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকটা দিল্লির ‘নির্ভয়া’ কান্ডের মতো। হাথরস শহর থেকে প্রায় ১৮০ কি.মি. দূরে গ্রেটার নয়দায় পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় যাতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা এগোতে না পারেন। ব্যারিকেড দেখে তারা গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসের গ্রামে ওই কিশোরীর ওপর উচ্চবর্ণের লোকেরা গণধর্ষণ করে। তারপর থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ। পুলিশ জোর করে মেয়েটির মৃতদেহ সৎকার করে দেওয়ায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চরমে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নির্দেশ দেন দোষীদের কঠোর সাজা দিতে। কিন্তু ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপি বনাম কংগ্রেস রাজনীতি তীব্র হয়ে উঠেছে।