রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

এমসি কলেজে ধর্ষণে আরও তিন আসামির দায় স্বীকার

দুজনের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার আরও তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর দুজনের ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেফতারকৃত আট আসামির মধ্যে ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন আদালতে। জবানবন্দিতে আসামিদের কেউ ধর্ষণের ও কেউ সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বেলা ২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয় গণধর্ষণ মামলার আসামি মিসবাউর রহমান রাজন, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুদ্দিনকে। পরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে। এর মধ্যে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. জিহাদুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করেন মিসবাউর রহমান রাজনের। শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন যথাক্রমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলা ও ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান। আদালতে তিন আসামির স্বীকারোক্তি দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী। এর আগে গত শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম। তিন আসামিই আদালতে প্রায় অভিন্ন জবানবন্দি দেন। আদালতকে তারা জানান, গাড়ির ভিতরে চারজন (সাইফুর, অর্জুন, তারেক ও রনি) মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। রবিউল ধর্ষণ করেনি, তবে সহযোগিতা করেছে। ধর্ষণের পর আলামত নষ্টের জন্য তারা গাড়িটি (প্রাইভেট কার) আটকে রেখেছিল। কিন্তু পুলিশ চলে আসায় তারা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে গতকাল সকালে মামলার আরও দুই আসামির ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের ডিনএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় তালুকদার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর