মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ শ্রমিক লীগ নেতার ধর্ষিত মাদ্রাসাছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

স্বামীকে বেঁধে ছাত্রাবাসে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও বেড়ানোর কথা বলে বাসায় এনে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর এবার পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আগের দুই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। আর এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঁচ সন্তানের জননী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো সিলেট নগরীর শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের ২নং বাসার দুতলার ভাড়াটে দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী হারুন আহমদ। ধর্ষিতা নারীও ওই এলাকার। দেলোয়ার শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত পরশু শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৪নং রোডের পাঁচ সন্তানের এক জননী ধর্ষিত হন। পরে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন। গত রবিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার ও তার সহযোগী হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে এবং আরও তিনজন ধর্ষণে সহযোগিতা করে।

ছাত্রীকে ধর্ষণ করলেন মাদ্রাসা সুপার : এবার কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে দফায় দফায় তারই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ওই শিক্ষার্থীকে রবিবার ফজরের নামাজের আগে এবং একই দিন রাতে দুই দফা ধর্ষণ করেন মাদ্রাসা সুপার। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান ওই শিক্ষক। উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষিত শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ছয় দিন সে ওই মাদ্রাসায় থাকত। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে ধর্ষণ করেন, পরে ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন। তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠী ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা ভাঙচুরও করে ওই মাদ্রাসায়। ঘটনায় জড়িত আবদুল কাদেরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুল কাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় গতকাল লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনুসহ এলাকার মানুষ ওই মাদ্রাসা সুপারকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন. মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেস্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর