বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত সারা দেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত সারা দেশে

একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার দাবিতে গতকাল কালো পতাকা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেন বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। এ সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশব্যাপী একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়ন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে গতকাল দ্বিতীয় দিনও ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। ঢাকায় কোথাও কোথাও পুলিশের বাধার মুখেও পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের গণজমায়েত ও মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

এদিকে নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন এখলাসপুর গ্রামের নোয়াব আলী বেপারী বাড়ির লোকমান হোসেনের ছেলে সাজু (২১) এবং জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ (৪৮)। রবিবার গ্রেফতার বাদলকে দুই মামলায় ২০ দিনের এবং ইউপি সদস্য সোহাগকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক মাসফিকুল হক দুই মামলায় বাদলের সাত দিন এবং সোহাগের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আসামি সাজুকে আদালতে এখনো হাজির করেনি পুলিশ। এর আগে একই আদালত মামলার সাক্ষী ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- নোয়াখালী : জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাসপুরে বাড়িতে ঢুকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ডিআইজি ও মানবাধিকার কমিশন। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, সোমবার রাতে সাজুকে ঢাকার শাহবাগ থেকে এবং সোহাগকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। সাজু নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ নম্বর আসামি। মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ এখলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। আদালতে ভুক্তভোগীর দেওয়া জবানবন্দিতে সোহাগের নাম উঠে আসায় তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রহিম ও রহমত উল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই দিন র‌্যাব নারায়ণগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি বাদল ও মূল পরিকল্পনাকারী দেলোয়ার হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, এখলাসপুরে বাড়িতে ঢুকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে যার যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে। অপরাধীদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল সকালে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা মামলার বাদী নির্যাতনের শিকার ওই নারীর সঙ্গে দেখা করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পরে তিনি নির্যাতিতার বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফয়জুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনের নেতা এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। একই সময় জেলা জজ আদালত সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফেরাম। এ সময় বক্তারা বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্মম নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের ইন্ধনদাতাদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ঢাকা : গতকাল বেলা ১১টার দিকে দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পতাকা মিছিল করতে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে জড়ো হন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া ধর্ষণের প্রতিবাদে সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবনের সামনে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে যুব মহিলা লীগ। ধর্ষকের বিচার দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো গতকালও মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ‘সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন পদযাত্রা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, আদালত এলাকা, জনসন রোড, রায়সাহেব বাজার ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্ক, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ঘুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা দুই সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে এ পদযাত্রা করেন। এতে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। এ ছাড়া পৃথক মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ও সোনাইমুড়ী জনকল্যাণ সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কালো পতাকা হাতে অবস্থান নেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী, লেখক, কবি, শিল্পী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও নারী অধিকার কর্মীরাও এতে যোগ দেন। বেলা ১২টার দিকে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান নিয়ে ‘ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, ধর্ষকদের পাহারাদার’, ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সাধারণ সম্পাদক অনীক রায়, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী প্রমুখ। পরে বেলা ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থেকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকা ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে আগে থেকেই ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। মিছিলটি সামনে যেতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে ঢাল দিয়ে আন্দোলনকারীদের আঘাত করতে দেখা যায়। এতে আসমানি আক্তার আশা, মাহমুদা দিপা, সাজ্জাদ হোসেন শুভ ও আরেফিন ইমন নামে চারজনকে আহতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সাকুরা পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশ থেকে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। পরে সেখান থেকে মিছিলটি শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তারা দৌড় দিয়ে এসে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। হাতে যে প্ল্যাকার্ড ছিল কালো পতাকাবাহী, এসব দন্ড পুলিশের ওপর ছুড়ে মেরেছে তারা। পুলিশ অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে উল্টো দিক থেকে শুধু ব্যারিকেডটা ধরে রেখেছে। তারা নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে এগুলো ভেঙে ফেলেছে। এদিকে সারা দেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের প্রতিবাদে বেলা ১১টায় বিএনএস সেন্টারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ ধর্ষণবিরোধী নানা লেখা নিয়ে বিক্ষুব্ধরা রাস্তায় অবস্থান নেন। তারা ধর্ষকের বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ওই এলাকায় প্রায় ৪ ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেয় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা হাইস্কুল, নবাব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

শেকৃবি : দেশব্যাপী চলমান লাগামহীন নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও পদযাত্রা করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেট ও জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনসহ ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়। বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেটে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর তারা জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করে। পদযাত্রায় চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সংসদ ভবনের দিকে যেতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিত-া হয়। যুব মহিলা লীগ : নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে যুব মহিলা লীগ। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর-সংলগ্ন মিরপুর রোডে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধনে অবিলম্বে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ বন্ধ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সহসভাপতি সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম ও খোদেজা নাসরিন, সহসভাপতি কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি : সারা দেশে একের পর এক নারী ধর্ষণ, গণধর্ষণের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। সমাবেশ  থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

ধর্ষণে জিরো টলারেন্স নীতি চাই : ‘ধর্ষণ সকল দেশেই হয়’ এমন মানসিকতা যত দিন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা বহন করবেন, তত দিন দেশ এই সহিংসতা  থেকে মুক্ত হবে না। তাই ধর্ষণের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার দাবি জানিয়েছে ৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি নাজরানা হক হীরা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সেলিনা পারভীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নারী সাংবাদিক সমিতির বিক্ষোভ : গণধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। সমাবেশ শেষে প্রতীকী ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। বানাসাসের সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা ও সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পীসহ অন্যরা এতে বক্তব্য দেন।

ধর্ষণ যেন আরেকটি মহামারী : সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক মহামারীর মতো পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ। মানবাধিকার কর্মীরা এই পরিস্থিতির জন্য বিচারহীনতাকেই দোষ দিচ্ছেন। বিরাজমান পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা এবং দেশে আইনের শাসনের অবনতির তীব্র  নিন্দা জানায় সুজন। একইভাবে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায় সংগঠনটি। আগামী ১০ অক্টোবর দেশব্যাপী বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করবে সুজন।

ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি : ধর্ষণের উৎসবে নারী ও শিশুর চিৎকার এবং মা-বাবার আহাজারিতে দেশের বাতাস আজ ভারি হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল সমর্থক শিক্ষকরা। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তারা। দেশে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির নিন্দা, প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ওই বিবৃতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাদা দলের শিক্ষকরা। এতে রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সব অপরাধীর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

রাজশাহী : ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজশাহীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে লেখা ছিল- ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’। ‘নো রেপ, নিরাপদে থাকুক সকল মা-বোন, বন্ধ হোক ধর্ষণ’। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন কর্মজীবী মানুষ বক্তব্য দেন।

বরিশাল : বরিশালে পৃথক মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচি থেকে ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার দাবি জানানো হয়েছে। বরিশাল জেলা মহিলা পরিষদের উদ্যোগে এবং সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সহায়তায় বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মহিলা পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক শাহ্ সাজেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পুষ্প চক্রবর্তী, প্রতিমা সরকার, জেসমিন আক্তার, পরিবেশবিদ রফিকুল আলমসহ অন্যরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। বেলা ১১টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান।

কুড়িগ্রাম : সারা দেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রামের সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পালন করা হয় এ মানববন্ধন। বক্তারা দেশব্যাপী ধর্ষণ ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নারীর নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে প্রশাসনকে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী, পুরুষ ও শিশু অংশ নেয়।

রংপুর : ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে নগরী উত্তাল হয়ে ওঠে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী ছাত্র-জনতা’ ও ‘সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বহ্নিশিখা ও গ্রিন ভয়েসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন করেন রংপুর জিলা স্কুল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। গণজাগরণ মঞ্চ, জাগো রংপুর, জনতার রংপুর, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কারমাইকেল কাইজেলিয়া শিক্ষা-সংস্কৃতি সংসদ, আমরাই পাশে রংপুর, সেবক বন্ধু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ ২৫টির বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।

দিনাজপুর : ‘গর্জে ওঠো, রুখে দাঁড়াও, ধর্ষণসহ সব ধরনের অনাচার থেকে সমাজ বাঁচাও’ স্লোগানে মানববন্ধন করে দিনাজপুর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। পরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন সামাজিক-সাংকৃতিক কর্মীরা। গতকাল বেলা ১১টায় দিনাজপুর প্রেস ক্লাব সম্মুখসড়কে ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি দিনাজপুরের আহ্বায়ক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কানিজ রহমান, জলিল আহমেদ, রেজাউর রহমান রেজু, তারেকুজ্জামান তারেক, হাবিবুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

গোপালগঞ্জ : কোটালীপাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণসহ দেশব্যাপী নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। বেলা ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

ঝালকাঠি : সারা দেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বাগড়ি আলহাজ লালমোন হামিদ মহিলা কলেজ-সংলগ্ন সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রাজাপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সত্যের সন্ধানে ডেপেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. সাগর হোসেন, মাহিম, আরাফাত প্রমুখ। বেসরকারি সংগঠন সত্যের সন্ধানে ডেপেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের আয়োজন করে।

কুমিল্লা : নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবিতে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লার বিভিন্ন সংগঠন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর কুমিল্লা স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম, আমরা কুমিল্লার সন্তান, মানবতার শেষ বন্ধন, বিডি ক্লিন, পথশিশু কল্যাণ, সেইভ দ্য হিউমিনিটি, বাংলাদেশ ইয়াং স্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন, মহানগর ছাত্রলীগ, অ্যান্টি রেপিস্ট সোসাইটি, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কুমিল্লা, কুমিল্লা সচেতন ছাত্রসমাজ। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারেও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রীদের হাতে ধরা ফেস্টুনে লেখা ছিল ‘ধর্ষণমুক্ত সমাজ চাই’, ‘রাষ্ট্র আমাকে আমার নিরাপত্তা বুঝিয়ে দাও’ প্রভৃতি। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মানবাধিকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ভালুকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ‘আমরা ভালুকাবাসী’ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভালুকা ক্লাব ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে। ভালুকা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভ্যুদয়, ভালুকা হেল্পলাইন, হ্যালো ভালুকা, প্রত্যয় অংশগ্রহণ করে।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল থেকে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। সিলেট এমসি কলেজ ও নোয়াখালীসহ সারা দেশে ধর্ষণের মতো এমন ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাধারণ ছাত্রসমাজ।

সাতক্ষীরা : দেশব্যাপী নারীদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আয়োজনে বেলা ১১টায় শহরের নিউমার্কেট চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি চলাকালে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল হামিদ, মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা দত্ত প্রমুখ।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে আশ্বাস প্রদান করলে বিক্ষোভকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। সকালে দেড় ঘণ্টাব্যাপী শহরের মোক্তারপাড়া ব্রিজের ওপর সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালিত হয়। এতে জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সময় সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ইসলামী ছাত্র খেলাফত বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী বক্তব্য দেন।

বাগেরহাট : দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন করেছে মহিলা পরিষদ ও বাদাবন। সকালে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সামনে মহিলা পরিষদ ও বাদাবন যৌথভাবে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। হবিগঞ্জ : ধর্ষণ, নারী সহিংতার প্রতিবাদে দুপুরে সরকারি বৃন্দাবন কলেজের সামনের রাস্তায় ধর্ষণ প্রতিরোধ গণঐক্যের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শতাব্দী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ফয়জুর রহমান রবিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শাহ জয়নাল আবেদীন রাসেল, নায়েব হোসাইনসহ সন্ধান, হবিগঞ্জ নারী সমিতি, লাল সবুজ সংঘ, মায়ের মমতা, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য ছাত্র পরিষদ, মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটির নেতারা।

ফরিদপুর : দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও একতা ফাউন্ডেশন। মানববন্ধন পালন শেষে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। একই স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে একতা ফাউন্ডেশন সদরপুর। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন সভাপতি মো. মসিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া।

? রিপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর