শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
ধর্ষণ নিপীড়ন

সারা দেশে ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রতিবাদ

নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গতকাল শাহবাগে বিক্ষোভ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নোয়াখালী, সিলেট, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নারী-শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। গতকাল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে এসব কর্মসূচি থেকে। একই দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় ওলামা-মাশায়েখরাও গতকাল জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এদিকে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে মহাসমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। পাহাড়-সমতলে  অব্যাহতভাবে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে গতকাল টানা     পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করে তারা। টঙ্গীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষক ও সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন সেই শিক্ষার্থী।

শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে এ মহাসমাবেশ হয়। শুরুতেই প্রতিবাদী ও সাহসী গান পরিবেশন করে উদীচী। মুহূর্তে গানের তালে ও স্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকা। জোর দাবি ওঠে ধর্ষণকারীদের বিচারের। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয় সমাবেশে। দাবি আদায়ের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ।

শাহবাগে পথনাটক : শাহবাগের মহাসমাবেশে মিছিলে মিছিলে এসে যোগ দেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রতিবাদী ‘জনতার মুখোশ’ নামে পথনাটক পরিবেশন করে নন্দন মঞ্চ। মহাসমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও চিকিৎসক সংগঠন সংহতি জানাতে আসে। মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে বামজোটের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকে। প্রত্যেকে ধর্ষণবিরোধী প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, ব্যানার, প্রতিকৃতি নিয়ে আসেন। বক্তারা বলেন, ক্ষমতার ছত্রছায়ায় বারবার ধর্ষকরা পার পেয়ে যায়। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত। এখনই সময় ধর্ষণ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। 

আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড  ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবি জানান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারদলীয় সমর্থকদের হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

মহাসমাবেশে সংহতি প্রকাশ করতে আসেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম প্রমুখ।

প্রতিবাদী গান, আবৃত্তি এবং নাটকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশের শুরুর ঘোষণা দেয় আয়োজকরা। বিকালে ৯ দফা দাবি আদায়ের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়। ওই দিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হলে ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া ১১ অক্টোবর ধর্ষণবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ১২ অক্টোবর সাংস্কৃতিক সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর চলচ্চিত্র উৎসব, ১৪ অক্টোবর নারী সমাবেশ ও ১৫ অক্টোবর সারা ঢাকায় ধর্ষণবিরোধী সাইকেল র‌্যালির কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর সন্ধ্যায় শুরু হয় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এর আগে মহাসমাবেশে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধে নয় দফা দাবি উত্থাপন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স। দাবিগুলো হলো- সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা, ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ, পাহাড়ে ও সমতলে নারীদের ওপর সব ধরনের যৌন নিপীড়ন বন্ধ করা, হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলুপ্ত করা, ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য আইনে-১৮৭২ এর ১৫০-এর ৪ ধারাকে বিলোপ করা, অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করা, ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে সব নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা, ভিকটিমকে হয়রানি, মানসিক নিপীড়ন ও আইনগত এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ধর্মীয়সহ সব ধরনের সভা-সমাবেশে নারী বিদ্বেষী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করা, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএলের কার্যকরী ভূমিকা নিশ্চিত করা, পাঠ্য-পুস্তকে নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক ছবি, প্রবন্ধ, নিবন্ধ শব্দ চয়ন পরিহার করা ও গ্রামীণ শালিসে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা। 

ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নুরুল হক নূর বলেন, বর্তমান এ জনরোষের ক্ষোভ থেকে বিস্ফোরণ ঘটার আগে আপনারা (সরকার) ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। আমরা এখানে সরকার পতনের জন্য আসিনি। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা নিজেরাই বিদায় নেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীরা বলেন, সরকার নাকি ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আসলে এ সরকার ধর্ষণের বিচার করবে না, কারণ ওরা নিজেরাই ধর্ষক। বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা পাকিস্তান আমলেও ছিল না।

ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় ছাত্রলীগের ক্ষোভ : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলার আসামি হাসান আল মামুন ও নুরুল হক নূরসহ অন্যরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়েলর রাজু ভাস্কর্যে ধর্ষণবিরোধী মিছিল ও সমাবেশে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সমাবেশ থেকে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের আড়ালে সরকারবিরোধী আন্দোলন করলে তা প্রতিহতের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

সমাবেশে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমরা ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। এদিকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ১৮ দিন ধরে ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছে। কিন্তু কই সেই ধর্ষণের মাস্টারমাইন্ড? সেই ধর্ষককে তো এখনো গ্রেফতার করা হয়নি?

অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত ঢাবি ছাত্রীর : ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এরআগে গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে কোটা আন্দোলনের নেতা হাসান আল মামুন ও নুরুল হক নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তিনি। শুরু থেকেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেত্রীরা একাত্মতা জানিয়ে তার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন। উল্লেখ্য, মামলা করার ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি। এ পরিপ্রেক্ষিতেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন ওই ছাত্রী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মামলা করেছি ১৭ দিন আগে। পুলিশ চাইলে যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেফতার করতে পারে। এত দিন পরেও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? আমার মনে হয় পুলিশ প্রভাবিত। আসামিরা তো প্রভাবশালী বটেই।

রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, দেশব্যাপী ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে নগ্ন পদযাত্রা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের  অধ্যাপক ফরিদ খান। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তিনজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিনি এ নগ্ন পদযাত্রা শুরু করেন। তার এ নগ্ন পদযাত্রা নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ধর্ষণমুক্ত একটি সমাজ। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এটি সম্ভব নয়। নারীদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমার এ নগ্ন পদযাত্রা।’

টঙ্গী প্রতিনিধি জানান, ধর্ষকের বিচার দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো টঙ্গীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বিকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হতে হবে। এ দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, ধর্ষণের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকালও নেত্রকোনায় বিক্ষোভ করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা সংসদ। সকালে শহরের ছোটবাজার শহীদ মিনার মোড় থেকে মোক্তারপাড়া সড়কে প্রতিবাদী গণসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ধর্ষকদের গ্রেফতার, বিচার এবং নারীর প্রতি সহিংসতার স্থায়ী অবসানের দাবিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল গফরগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির জেলা শাখার আয়োজনে গতকাল বাদ জুমা স্থানীয় সোনা মিয়াহ ঈদগাহ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমহুনী গিয়ে শেষ হয়।

খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে খুলনায় মানববন্ধন, সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ নগরীর দৌলতপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

বরিশাল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুমার নামাজের পর নগরীর পোর্ট রোড মসজিদ থেকে ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ মহানগর শাখার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং নারীর প্রতি বর্বরতার প্রতিবাদে গতকাল বিকালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।

কালিয়াকৈর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় গতকাল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপজেলা ওলামা পরিষদের উদ্যোগে ধর্ষণকারীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরা একত্র হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর