শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ট্রাম্প-বাইডেন দ্বিতীয় বিতর্ক হবে ভার্চুয়াল

নির্বাচনে সচেতনতা গড়তে বিবস্ত্র হলিউড তারকারা

সাইফ ইমন

ট্রাম্প-বাইডেন দ্বিতীয় বিতর্ক হবে ভার্চুয়াল

মাত্র কয়েকটা দিন বাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে শুধু মার্কিন মুলুক নয়, মুখিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তার মধ্যে আবার ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত। গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এখনো করোনা আতঙ্ক একবিন্দু কাটেনি। কীভাবে হবে নির্বাচন? মানুষ ভোট দেবে কীভাবে? সেই পুরনো পদ্ধতি। ডাকের মাধ্যমে ভোট দেবে মানুষ। কিন্তু পুরনো পদ্ধতিতে সমস্যা তো আছেই। ডাক ব্যবস্থায় যদি কেউ খোলা খামে তার পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে পাঠান, তাহলে কারচুপির সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটাই। সেই কারচুপি বন্ধ করতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নতুন উপায় বের করলেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতারা। নারী পুরুষ নির্বিশেষে নগ্ন হলেন ক্যামেরার সামনে। তাদের উদ্দেশ্য- মানুষ যাতে বোঝে, নগ্ন ভোটের কোনো মূল্য নেই। এখানেই উঠে আসছে নতুন টার্ম। নেকেড ব্যালট। যদি ভোটার ব্যালট খামটি সিল না করে ডাকের মাধ্যমে তার ভোট দেন, তাহলে সেই ভোটটি গণনা করা হবে না। ভোটটি বাতিল করে দেওয়া হবে। আর সেজন্য নির্বাচন নিয়ে সচেতনতা গড়তে হলিউড তারকাদের এই পদ্ধতির অবলম্বন। তারকাদের মধ্যে রয়েছেন, সারাহ্? সিলভারম্যান, মার্ক রুফালো, চেলসি হ্যান্ডলার, নাওমি ওয়াট্?স, যশ গ্যাড, ক্রিস রক প্রমুখ। এদিকে জো বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট হওয়ার কথা ছিল ১৫ অক্টোবর। ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ডিবেট কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, সামনাসামনি নয়, বিতর্ক হবে ভার্চুয়াল। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ভার্চুয়াল বিতর্কে অংশ নেবেন না। তাঁর অভিযোগ, বাইডেনকে সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাইডেনের প্রচার-ম্যানেজারদের দাবি, প্রথম বিতর্কে ট্রাম্প একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। বাইডেন সেখানে এগিয়ে গেছেন। তাঁদের প্রস্তাব ছিল, তা হলে ১৫ তারিখের বিতর্ক বাতিল করে ২২ তারিখ নির্ধারিত তৃতীয় বিতর্ক হোক। সেটাই চূড়ান্ত বিতর্ক হবে। কিন্তু ট্রাম্পের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ২২ তারিখ দ্বিতীয় বিতর্ক হোক। তারপর ২৯ তারিখ তৃতীয় বিতর্কের আয়োজন করা হোক। কিন্তু বাইডেন তা মানতে চাননি। এরপর ট্রাম্পের চিকিৎসকের বিবৃতি আসে। ট্রাম্পের প্রচারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন যে, আর বিতর্ক পিছিয়ে দেওয়ার বা ভার্চুয়াল করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু তারপরেও আমেরিকায় প্রশ্ন উঠেছে, একজন করোনা রোগী কতদিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন? কতদিন পর তাঁর থেকে আর কারো করোনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না? ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, আমার থেকে কারো করোনা হতে পারে। আমি একেবারে সুস্থ বোধ করছি। সত্যিই একেবারে ঠিক মনে হচ্ছে নিজেকে। আমি বেরোতে চাই। জনসভা করতে চাই।’

সর্বশেষ খবর