শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মানসিক স্বাস্থ্য একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানসিক স্বাস্থ্য একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ

নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিস-অর্ডারস এবং অটিজম সম্পর্কিত বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সত্যিকারেই একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা মোটেও উপেক্ষা করা যায় না। কারণ, ২০৩০ সালের মধ্যে সব দেশ সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। বাসস । বাংলাদেশে মানসিক  স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে ইম্পেরিয়াল কলেজের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ গবেষণা নেটওয়ার্কের একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি গতকাল মূল বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সায়মা বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের জন্য রূপরেখা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্রকল্পটি ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (ইউকেআরআই) গ্লোবাল চ্যালেঞ্জস রিসার্চ ফান্ড থেকে ইম্পেরিয়ালের অর্থে পরিচালিত। বাংলাদেশি সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে আইসিসিডিআর.বি, ইনোভেশন ফর ওয়েলবিয়িং ফাউন্ডেশন, জেপিজিএসপিএইচ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে চ্যাথাম হাউস, পূর্ব লন্ডন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়। ইম্পেরিয়াল এবং চ্যাথাম হাউসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীবর্গ এবং বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের এবং যুক্তরাজ্যের অর্থায়ন সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা যোগ দেন। তারা বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্বজুড়ে একটি অবহেলিত জরুরি অবস্থা, যা মানুষের জীবনে কভিড মহামারীর প্রভাবে আরও খারাপ হয়েছে।’ বাংলাদেশ ইতিমধ্যে অনেক স্বাস্থ্যসূচক যেমন গড় আয়ু, মোট শিশু জন্মদান হার এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে উন্নতি অর্জন করেছে এবং কার্যকর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য যথাযথ পথে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর