শিরোনাম
সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে দুদক

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা বরাবরই সোচ্চার : দুদক চেয়ারম্যান

আহমেদ আল আমীন

বদলে যাচ্ছে দুদক

অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দিন দিন বদলে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সর্বশেষ এই করোনাকালেও সংস্থাটির কার্যক্রমে একটু শিথিলতা আসেনি। বরং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কয়েকজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এক পরিচালকের মৃত্যুও হয়েছে। কাজের মাধ্যমেই দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটিকে উচ্চাসনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুদকের সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা সমুন্নত করা, অভ্যন্তরীণ সংস্কার, কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত, অবৈধ সম্পদ জব্দ এবং মামলায় ক্রমবর্ধমান সাজার হারে সংস্থাটির ইমেজ অনেকটাই বদলে গেছে। গোয়েন্দা ইউনিট ও হটলাইন থেকে দুর্নীতি-অভিযোগের আগাম ও সঠিক তথ্য নিয়ে অভিযান বা গ্রেফতারসহ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা বরাবরই সোচ্চার থেকেছি। বর্তমান কমিশন শুরু থেকেই কিছু পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর সুফল এখন ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে, সব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে। দুদক সূত্র জানায়, এপ্রিল-মে মাসে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও সরকারি ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। লকডাউন-কালেই ত্রাণসহ অন্য খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা দায়ের শুরু করে। কেবল ওই সময়ই অন্তত ২০টি মামলা দায়ের হয়। এ ছাড়া নকল ও নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ করে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগেও মামলা করেছে দুদক। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত করে এই খাতে শৃঙ্খলা আনয়নে দেড় বছর আগে ২৫ দফা সুপারিশ পেশ করে দুদক। সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। আর তাতে করোনাকালে বিভিন্ন দুর্নীতিসহ স্বাস্থ্য খাতের ভঙ্গুর দশা দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দুদকের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে করোনাকালে জনগণকে এতটা ভুগতে হতো না।                                                                              

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন বছরে ফাঁদসহ কমিশনের অন্যান্য মামলায় আট শতাধিক আসামি গ্রেফতার হয়েছে। দুদকের আইনি জালে আটকা পড়ছেন রাষ্ট্র ও সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ, ঘুষ, অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত চালানো হচ্ছে। সংস্থাটির জালে আটকে পড়া প্রভাবশালীদের মধ্যে একদা দেশের প্রধান বিচারপতির মতো পদে দায়িত্ব পালন করা সাংবিধানিক পদধারীও রয়েছেন। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমনকি আর্থিক বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকও এই তালিকায় রয়েছেন। অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা, প্রকৌশলী, মাদক ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ কিংবা খোদ দুদকের পদস্থ কর্মকর্তাও রেহাই পাননি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের দীর্ঘ অনুসন্ধানে দুদকের এমন চিত্র উঠে এসেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এক সময়কার নখ-দন্তহীন বাঘ হিসেবে বিবেচিত দুদক এভাবেই দুর্নীতিবাজদের জন্য আতঙ্ক হয়ে ফিরেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুদকের এই বদলে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের যুগোপযোগী ২০টি পদক্ষেপ। দুদককে কার্যকর ও গতিশীল করতে ২০১৭ সালে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইএসের সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয় কমিশন। এই পরিকল্পনার মধ্যে গত তিন বছরের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাতেই দুদক কাক্সিক্ষত রূপে ফিরে আসছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা, কার্যকর প্রতিরোধ ও শিক্ষা কৌশল, উদ্ভাবনী গবেষণা ও উন্নয়ন, রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো শক্তিশালীকরণসহ ৮টি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পুরো বিষয়টি কমিশন নিয়মিত মনিটরিং করছে।

দুদকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্মচারীদের মধ্যে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মনোভাব জিইয়ে রাখার পাশাপাশি কমিশনের সদস্যরাও অনুরূপ দায়িত্ব পালন করেন। ইকবাল মাহমুদ মধ্যরাতেও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, পরবর্তী দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে নির্দেশনা দেন। এমনকি সভা-সেমিনারে অংশ নিতে বিদেশে থাকলেও দুদকে তার বার্তা আসে। সর্বস্তরে স্বচ্ছতা আনয়নের পাশাপাশি কমিশনকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এডিবি, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে কারিগরি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধান, তদন্ত, প্রতিরোধ ও মামলা পরিচালনার কাজ নিবিড়ভাবে তদারকি করতে ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দুদক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটির কার্যক্রম সহজ ও গতিশীল করতে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয় অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক সফটওয়্যার, ইনভেন্টরি-বিষয়ক সফটওয়্যার, গ্রন্থাগার-বিষয়ক ডাটাবেজ সফটওয়্যার, সুরক্ষিত ফাইল-বিষয়ক সফটওয়্যার, সততা সংঘের তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ সফটওয়্যার, দুর্নীতি-বিষয়ক অপরাধ ও অপরাধীর তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ থাকছে। এই প্রকল্পের আওতায় গত বছরই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সুবিধা গ্রহণের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ের আইসিটি শাখার সার্ভার কক্ষে ডাটা কানেকটিভিটি স্থাপন করা হয়েছে। দুর্নীতির আগাম ও সঠিক তথ্য পেতে ২০১৮ সালে গোয়েন্দা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। দুদকের চাকরি বিধিমালা অনুসারে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির কার্যক্রম সক্রিয় করা হয়েছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণ ও আইনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের সাজা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়েছে। দুদকের প্রসিকিউশন টিমে ১২৭ জন আইনজীবী রয়েছেন। আইনজীবীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা ও মূল্যায়ন পদ্ধতির উন্নয়ন এবং বিদ্যমান নীতিমালা সংস্কারের লক্ষ্যে কমিশনের প্রসিকিউশন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী, কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে সম্পদ পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনা ইউনিট। এর আওতায় কমিশনের মামলা চলাকালে বা আসামির মৃত্যু, কমিশন কোনো অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রয়োজনে অথবা বিচারাধীন মামলার আওতাধীন সম্পদ জব্দ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা ও অনিয়ম রোধে নীতিমালা করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরীর কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন ইউনিট। এই ইউনিটের মাধ্যমে কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মচারীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় রেখেছে এই ইউনিট। দুর্নীতিমুক্তভাবে কমিশনে বিভিন্ন পদে সর্বশেষ দুই শতাধিক কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতো দুদকেও কর্মচারীদের বিশেষ ঝুঁকি ভাতা ও রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুদকের জনসম্পৃক্ততা বেড়েছে। পৃথক ইউনিট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসংযোগ কার্যালয়কে শক্তিশালী করা হয়েছে। একসময় কমিশনে গণমাধ্যমের প্রবেশে ব্যাপক কড়াকড়ি থাকলেও এখন তা কমেছে। জানুয়ারিতে দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে খোদ দুদক। কমিশনের ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন এটাই প্রথম। এর আগে বিভিন্ন সময় বর্তমান কমিশন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও সম্পাদক, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী, এমনকি বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতিবিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছে। এ ছাড়া দুদকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি প্রেস ব্রিফিং ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সংস্থাটির কার্যক্রম, কর্মকৌশল এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা হচ্ছে। আবার তথ্য অধিকার আইনেও তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণ ও প্রতিকারের জন্য ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে   টোল ফ্রি হটলাইন ১০৬ চালু করা হয়েছে।

কমিশনের প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি কার্যালয়ের কর্মপরিবেশের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোসহ বিভিন্ন লজিস্টিক সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। প্রধান কার্যালয়ে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিনন্দন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের কর্মপরিবেশ প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পর্যায়েও অবকাঠামো নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষের জন্য আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয়, টেলিফোন বাগিং পদ্ধতির সংযোজন, রেডিও স্টেশন স্থাপন, ওয়াকিটকি এবং মোবাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে কমিশনের সব কার্যালয়ে ১৮ ডিজিটের ইলেকট্রনিক নথির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে কমিশনের ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দুদক আইন অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধে গবেষণার পাশাপাশি গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ করে দুদক। কর্মচারীদের দক্ষতা ও নৈপুণ্য বাড়াতে কমিশনের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার সাধন করা হয়েছে। একজন মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পৃথক প্রশিক্ষণ অনুবিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর দেশে-বিদেশে গড়ে প্রায় ১ হাজার কর্মচারীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ  দেওয়া হচ্ছে। দুদক কর্মচারীরা ফলো দ্য মানি, ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন, ফরেইন এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, কম্প্রিহেনসিভ ইন্টেলিজেন্স, সিনিয়র সিকিউরিটি কোর্সসহ বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ শেষে অভিজ্ঞতার ওপর তাদের মতামত দেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত অন্তত একটি শিক্ষণীয় বিষয়কে কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মে প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তম চর্চার বিকাশে ২৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার সততা স্টোর চালু করা হয়েছে। এই দোকানগুলোতে কোনো বিক্রেতা ছাড়াই প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হয়। দুদক মনে করে, শিশু-কিশোরদের উত্তম চর্চার আওতায় আনা গেলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান তথা কমিশনের কার্যক্রমে এভাবে দেশজুড়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

এ ছাড়া অপারেশনাল কাজে দুদকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সদস্যের সশস্ত্র পুলিশ ইউনিট নিয়োজিত আছে। আসামি গ্রেফতার ও দুর্নীতি প্রতিরোধ অভিযানে এই ইউনিটের সদস্যরা দুদক টিমের সঙ্গে অংশ নেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের আগে নিরাপদে রাখতে দুদকে হাজতখানা স্থাপন করা হয়েছে। কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত আর্কাইভে দুদকের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, আইন, বার্ষিক প্রতিবেদন, দুদক দর্পণ, ক্রেস্ট, পোস্টার, ফেস্টুন, দুদক মনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে রেকর্ড রুম স্থাপন করা হয়েছে। রেকর্ড রুম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে ম্যানুয়াল জারি করেছে কমিশন। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দুদকের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন বদ্ধপরিকর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর