মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলায় রিমান্ডে ভিপি নূরের সহযোগী নাজমুল সাইফুল

আদালত প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল ও সাইফুলকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা। নাজমুল হুদাকে রবিবার মগবাজার মোড়ের মডার্ণ হারবাল  সেন্টারের সামনে থেকে এবং সাইফুল ইসলামকে আজিমপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থী মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল কাফি (২৩)। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায়ও একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন তিনি। মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ আরও পাঁচজনকে সহযোগিতার অভিযোগে আসামি করা হয়।

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতেই নেতাদের গ্রেফতার : বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চার নেতাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে তারা। এর আগে সেখানে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন দমানোর জন্যই সরকার নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এর আগে, ছাত্র অধিকার পরিষদ রবিবার তাদের চার নেতাকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে। এর মধ্যে আছেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মাহমুদ।  তবে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও গতকাল বিকালে সাইফুল ও নাজমুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকারের নেতা-কর্মী ছাড়াও গ্রেফতারকৃত পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রেস ক্লাব অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। এতে শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে।

সব আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনশন করবেন ঢাবি ছাত্রী : ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় দুজন গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে অনশনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে সব আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর