শিরোনাম
বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিবস্ত্র করে নির্যাতন

আসামি সুমন চার দিনের রিমান্ডে, কালামের দোষ স্বীকার, ওসি প্রত্যাহার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে নির্যাতিত নারীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। এ ছাড়া আসামি সুমনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে দুটি মামলায় ৩ নম্বর আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আবুল কালাম। নারী নির্যাতন মামলার আসামি ইউপি সদস্য সোহাগের জামিনের আবেদন করা হলে তা নাকচ করে দেয় আদালত। এদিকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার পর বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরীকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা জানান, ডিআইজি অফিস থেকে পাঠানো পত্রে ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরীকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে ডিআইজি অফিসে যোগদান করতে বলা হয়। গতকাল এ আদেশ পাওয়ার পরপরই তা বস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, আসামি দেলোয়ারকে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার ৩ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করে উল্লিখিত দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর নোয়াখালী কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে দেলোয়ারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা অন্য একটি মামলায় দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলার প্রধান আসামি তিনি। এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার ৬ নম্বর আসামি শামছুদ্দিন সুমনকে একই আদালতে উপস্থাপন করে তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি মামলার ৩ নম্বর আসামি আবুল কালামকে আদালতে তোলা হয়। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর