করোনাভাইরাস মহামারীতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক শ্রমিক ফিরে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনা আসার পর আমরা আতঙ্কে ছিলাম। আমাদের ৮০ শতাংশ শ্রমিক থাকেন মধ্যপ্রাচ্যে। তাদের মধ্যে যেসব প্রবাসী শ্রমিক জেলে ছিলেন, তাদের দেশে এনেছি। এই সময়ে মিশনগুলোকে প্রবাসী শ্রমিকদের দেখভাল করার জন্য ৭০ কোটি টাকাও দিয়েছি।’ গতকাল অনলাইনে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস টকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ‘প্রবাসী আয় ও অর্থনৈতিক কূটনীতি’ শীর্ষক বাংলাদেশ প্রতিদিন বিজনেস টকের সঞ্চালনা করেন শামীমা দোলা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। প্রবাসীরা বিনিয়োগের ভালো প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। আমরা অনেক সময় সে প্রস্তাব বুঝিও না। একটি কারখানা করতে গেলে ৪৩টি কাগজ লাগে। আমরা অর্থনৈতিক কূটনৈতিক প্যাকেজ চালু করেছি। পাবলিক ডিপ্লোমেসিও চলবে। আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। নতুন নতুন পণ্য তৈরি করতে হবে। রপ্তানির পরিধিও বাড়াতে হবে। প্রবাসীদের গুণগত ও মানসম্মত সেবা দেব। দেশে ছয় লাখ তথ্য ও প্রযুক্তির পেশাজীবী আছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে দেশে বসেই প্রবাসী আয় করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ পানি আর মানবসম্পদ। এসব সম্পদ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। ইতালিতে মৌসুমি শ্রমিক নেবে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এর আগে ছয় বছর সৌদিতে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকার পর পুনরায় তা চালু হয়েছে। এবার ইতালিতে শ্রমিক যাওয়া শুরু হবে। এ দুটোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ফসল। দুটো দেশেই প্রধানমন্ত্রী সফর করে বন্ধ থাকা জনশক্তি রপ্তানি পুনরায় চালু করতে সফল হয়েছেন। আমাদের জন্য আরেকটি সুখবর হলো, আলবেনিয়া ও এর পাশের আরেকটি দেশে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ওই দেশ দুটো বাংলাদেশি জনশক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটা আমাদের শ্রমবাজারের জন্য নতুন সুখবর। যদিও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক শ্রমিক ফিরে আসছে।’ ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের বিদেশি ৬০টি মিশনে অ্যাপ সুবিধা চালু করেছি। ই-পাসপোর্ট নবায়নের সুবিধা মুঠোফোনেই দেব। আগামীতে প্রবাসীরা বিদেশে বসেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি পাবেন। এক কথায় বলতে পারি, মিশনগুলোতে দালালদের ব্যবসা শেষ। প্রবাসীরা ২৯টি সেবা এখন অনলাইনে পাবেন।’