বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থ পাচার ঠেকাতে সতর্ক থাকতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ পাচার ঠেকাতে সতর্ক থাকতে হবে

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বিদেশে ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য সহযোগীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় দেশসমূহের অব্যাহত ও হতাশাজনক ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। দুর্নীতি রপ্তানি (Exporting Corruption)-এর তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থ পাচারসহ নানা ধরনের ব্যাপক ক্ষতির ঝুঁকির বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্রগুলোকে তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, নিজস্ব আইন ও তার প্রয়োগ শক্তিশালী করা উচিত। গতকাল এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলো বিদেশে ঘুষ লেনদেন বন্ধের বিষয়ে তাদের প্রদত্ত আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পালনে আশঙ্কাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থ দেশগুলোর তালিকায় সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে থাকা চীন, জাপান, ভারত, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগ বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগী। তাই বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিবিরোধী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সরকার, বৈদেশিক বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সব অংশীজনদের সতর্ক করছি। অন্যদিকে যেসব দেশ জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন (UNCAC) এবং ওইসিডির (OECD) ঘুষবিরোধী কনভেনশন অনুযায়ী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাদের কূটনৈতিক মিশন ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা বৈদেশিক ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। বার্লিনে অবস্থিত টিআই সচিবালয় পরিচালিত দ্বিবার্ষিক ‘দুর্নীতি রপ্তানি ২০২০ : ওইসিডি ঘুষবিরোধী কনভেনশন প্রয়োগের মূল্যায়ন’(Exporting Corruption 2020 : Assessing Enforcement of the OECD Anti-Bribery Convention) শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৮ সালের পর থেকে বৈদেশিক ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে সক্রিয় আইন প্রয়োগের উদাহরণ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ সময়কালে বৈদেশিক ঘুষ এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমেছে।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৪৭টি দেশের মধ্যে বিশ্বের রপ্তানি বাণিজ্যের ১৬ দশমিক ৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করা মাত্র ৪টি দেশ বৈদেশিক ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে আইন প্রয়োগ করেছে। অথচ ২০১৮ সালে এমন দেশের সংখ্যা ছিল ৭টি, যারা মোট বৈশি^ক রপ্তানি বাণিজ্যের ২৭ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত। বাস্তবিকভাবে ৪৭টি দেশের মধ্যে ৩৪টি দেশ কার্যত এ-সংক্রান্ত আইনের কোনো প্রয়োগই করেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর