বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকারের নেতা-কর্মীরা এখন লুটপাটে ব্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের নেতা-কর্মীরা এখন লুটপাটে ব্যস্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই সরকার গায়ের জোরে টিকে আছে। তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। জনগণের কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। সরকারের নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত এখন লুটপাটে। আজ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দুটি মহামারী বয়ে চলেছে। একটি হলো      আওয়ামী দুর্যোগ, আরেকটি করোনা দুর্যোগ। সারা বাংলাদেশের মানুষ জানেন, ৩০ ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সে নির্বাচন নস্যাৎ করা হয়েছে।’ গতকাল ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনি সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা। আপনি সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করেছেন। সেই সন্ত্রাসী বাহিনী আজ আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মাঠে থাকব।’ এদিকে শেষের দিকে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক থেকে কয়েকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক পথসভায় হামলা চালান বলে অভিযোগ করে বিএনপি। হামলার একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি নির্বাচনী মিছিল নিয়ে শহীদ ফারুক সড়কের দিকে যায় বিএনপি কর্মীরা। এ সময় শহীদ ফারুক সড়কে অবস্থিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস থেকে আবার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

বিএনপির কর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাদের অফিসের শাটার লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ মিছিল বন্ধ করার অনুরোধ করলেও বিএনপির সমর্থকরা মিছিল চালিয়ে যায়। যাত্রাবাড়ী মোড় হয়ে বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী অফিসের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। বিএনপির অভিযোগ, হামলার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম, সুমন নাথ সরকার, আদনান, প্রান্ত, আসিফ, নজরুল, আলামিন সরকার মন্টিসহ ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটে পূর্বঘোষিত পথসভা শুরু করে বিএনপি। এতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন নান্টু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন ভূঁইয়া, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভা-ারীসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর