শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
অধ্যাদেশ জারির পর প্রথম রায়

টাঙ্গাইলে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারির পর এই প্রথম এ মামলায় পাঁচ ধর্ষককে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ছাব্বিসা গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ মামলার রায়ে গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ দন্ডাদেশ দিয়েছে। এদিন দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিল। বাকি তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে। আদালতে উপস্থিত দন্ডিত দুই আসামি হলো মধুপুর উপজেলার চারালজানী গ্রামের বদন চন্দ্র মণি ঋষির ছেলে সঞ্জিত (২৮), গোলাবাড়ি গ্রামের দিগেন চন্দ্র শীলের ছেলে গোপি চন্দ্র শীল (৩০)। আর পলাতক আসামিরা হলো একই এলাকার সুনীল চন্দ্র শীলের ছেলে সাগর চন্দ্র শীল (৩৩), সুনিল মণি ঋষির ছেলে সুজন মণি ঋষি (২৮) ও মনিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে রাজন চন্দ্র (২৬)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আকতার জানান, ২০১২ সালে দ-িত আসামিদের মধ্যে মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের সাগর চন্দ্র শীলের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে ভূঞাপুর উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী ওই ভিকটিমের পরিচয় হয়। একই বছরের ১৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সালদাইর ব্রিজের কাছে সাগর কৌশলে একটি সিএনজিতে তাকে তুলে এলেঙ্গা নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মধুপুরে চারালজানী গ্রামে তার বন্ধু রাজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার চার বন্ধু তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সাগর হিন্দু বলে ভিকটিম তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে ওই রাতে সাগর রাজনের বাড়িতে আটক রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ১৭ জানুয়ারি রাতে তাকে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা পাঁচজনে মিলে পালাক্রমে আবার ধর্ষণ করার পর ফেলে রেখে চলে যায়।

পরদিন ভোরবেলা স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিমের বাড়িতে মোবাইলের মাধ্যমে খবর পাঠানো হলে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ১৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সুজন মণি ঋষিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। ১৯ জানুয়ারি আসামি সুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সুজন তার জবানবন্দিতে সাগর, রাজন, সঞ্জিত ও গোপি চন্দ্র জরিত থাকার কথা উল্লেখ করে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করে। পরে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর