শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ

আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে অধিক পর্যবেক্ষণের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে অধিক পর্যবেক্ষণের সুপারিশ করেছে এ-সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটি। কেননা দেশ থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয় এর বেশির ভাগই হয় আমদানি-রপ্তানির আড়ালে। একই সঙ্গে অনলাইন লেনদেনগুলোও পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণের সুপারিশ করেছে কমিটি। গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির সভায় বিষয়টি উঠে এসেছে।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আমদানি-রপ্তানি পর্যবেক্ষণ, সব ধরনের অনলাইন লেনদেনে সার্ভিলেন্স বাড়ানোর সুপারিশ, বিএফআইইউ এবং শুল্ক গোয়েন্দার তৎপরতা বাড়ানো এবং সুইস ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং যাদের অর্থ গচ্ছিত আছে তাদের ব্যাপারে তথ্য খোঁজার কথা বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সম্প্রতি সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের আর্থিক খাতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়। সে সময় নানা কারণে পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন কাজেও কিছুটা শিথিলতা ছিল। সেই সুযোগে মানি লন্ডারিং, আর্থিক প্রতারণা, জালিয়াতি ও সাইবার-সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকা- বেড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে দেশ থেকে এ সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ মানি লন্ডারিং হয়েছে। ব্যাংক খাতেও অনেকগুলো জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। সাইবার অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্যেরও বিস্তার ঘটেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তথ্যগুলোর সমন্বয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। প্রতিবেদন গতকালের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি বেড়েছে- তিন মাস আগে এমন তথ্যই দিয়েছিল সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স। সে সময় সংস্থাটি মানব পাচার রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার বিশ্বব্যাংকও সেটিকে আমলে নিয়ে বলেছে, কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এ জন্য মানব পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

 একই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে তদারকি বাড়াতে বলা হয়েছে। কেননা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয় আমদানি-রপ্তানির আড়ালে। এ জন্য অনলাইনে নিরাপদ লেনদেনকে দ্রুত জনপ্রিয় করারও পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর