শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
নবাবগঞ্জে থানা হেফাজতে মৃত্যু

তদন্তে আগ্রহ নেই পুলিশের, আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখনো নানা প্রশ্ন ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ হেফাজতে আসামি মামুনের মৃত্যু ঘিরে। বিশেষ করে ছেলের মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাবার মৃত্যু হওয়ায় মানবাধিকার সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ নানাভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। তারা বলছেন, আসামি আত্মহত্যার সুযোগ পেল কীভাবে? তবে ভিন্ন চিত্র মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের লস্করপুরে। স্থানীয় পুলিশ এ ঘটনার তদন্তে কোনো আগ্রহ না দেখালেও আতঙ্কে ভুগছেন অনেকেই।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, হাজতখানায় মৃত্যুর বিষয়ে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং একজন সহকারী পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। তবে রাজিয়া খুনের ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। গত রবিবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার দেওতলার ডোবার পাশে জঙ্গল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারীর পরিচয় মেলে। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা লস্করপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তীতে রাজিয়া হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর হাজতখানায় তিনি আত্মহত্যা করেন। এর দুই দিন পর তার বাবা হত্যা মামলার আসামি আবুল মিস্ত্রির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। আবুল মিস্ত্রির মৃত্যুর বিষয়ে তার ভাতিজা মনির হোসেন এবং কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আবুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার লাশ মুন্সীগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজিয়া নিখোঁজের সময় সন্দেহজনক হিসেবে শ্রীনগর থানা পুলিশ মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার চেষ্টা করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাধা দেন। তবে পরদিন রাজিয়ার লাশ পাওয়া যায়। মামুন ও তার মা পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় লস্করপুর এলাকার আবদুল নামের এক নেতা মামুনকে ধরিয়ে দেওয়ায় রাজিয়ার পরিবারের লোকজনের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। তাদের বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর