রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

এমপি নিক্সনের এলাকায় পাল্টাপাল্টি সভা, ১৪৪ ধারা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর-৪ আসনের তিন উপজেলায় (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বানের কারণে প্রশাসন সদরপুর উপজেলায় ১৪৪ ধরা জারি করেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর  উল্লাহ গ্রুপ ও স্বতন্ত্র এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। গত ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র এমপি নিক্সন চৌধুরী প্রশাসনকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় জেলা আওয়ামী লীগে তোলপাড় শুরু হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে নিক্সন চৌধুরী সভা করায় বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফরিদপুর-৪ আসনের গোটা এলাকা। নিক্সন চৌধুরীর বিচার চেয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগের কাজী জাফর উল্লাহ সমর্থিত একাংশ। অন্যদিকে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে তার সমর্থকরাও সভা-সমাবেশ করছেন বিভিন্ন স্থানে। এরই ধারাবাহিকতায় সদরপুর উপজেলায় গতকাল একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক দেয় দুই পক্ষ। স্থানীয়রা জানান, কাজী জাফর উল্লাহ ও নিক্সন চৌধুরী গ্রুপ গতকাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশের ডাক দিয়ে প্রচারণা চালায়। ফলে শুক্রবার রাত থেকেই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই গ্রুপের মধ্যে সহিংসতা ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা চত্বরের ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির কথা জানান সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূরবী গোলদার। ১৪৪ ধারা জারির পর গতকাল সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। বেলা ১০টার দিকে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা অন্য স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার জানান, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে গতকাল দুপুরে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সময় কাজী জাফর উল্লাহ গ্রুপ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ নিয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন সতর্ক হয়েছে।

সর্বশেষ খবর