দেশব্যাপী ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে শুরু হওয়া লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফেনীতে কর্মসূচি শেষে নোয়াখালীর একলাশপুর যাওয়ার পথে ফেনীর কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলায় লংমার্চকারীদের আটজন আহত হয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এর আগে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে লংমার্চকারীরা তাদের নির্ধারিত সমাবেশ করেন। লংমার্চকারীরা বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও প্রচারাভিযান চালিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দিকে লংমার্চ যাওয়ার সময় কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় লংমার্চকারীদের মধ্যে হৃদয়, শাহাদাত, অনিক, যাওয়াদসহ আটজন আহত হন। লংমার্চকারীরা বলেন, সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষমতাসীনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা সরকারি দলের লোক। পুলিশ পাহারায় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ সূর্য বলেন, ‘এ হামলা ন্যক্কারজনক। হামলা করে আমাদের কর্মীদের দমিয়ে দিতে চায় সন্ত্রাসীরা।’ এর আগে শহরের শহীদ মিনারের পাশে দোয়েল চত্বরে সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় এমপির ছবির ওপর লাল রং লাগিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য লেখাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চকারীদের বাগ্্বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফেনী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান ও ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। লংমার্চকারীদের নেতৃস্থানীয়রা বলেন, ‘সমাবেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে বহিরাগতরা এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছে।’
