রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মধ্যবর্তী টালবাহানার প্রয়োজন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মধ্যবর্তী টালবাহানার প্রয়োজন নেই

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে কোনো টালবাহানার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই মধ্যবর্তী কোনো ইস্যু তৈরির। সময় এলেই নির্বাচন হবে, দেশের মানুষ তখন পরবর্তী সরকার কে হবে তা ঠিক করবে। মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপির বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা বলতে চাই- জনগণ সরকারকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। সরকার পরিবর্তন চাইলে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জনগণ চাইলে আমরা আবার আসব, আর না চাইলে সরে দাঁড়াব। শেখ হাসিনা ক্ষমতার চোরাগলি খোঁজেন না, তাঁর আস্থা এ দেশের মাটি, মানুষ ও জনগণের ওপর। ষড়যন্ত্র করে নয়, দেশের উন্নয়নের মাধ্যমেই মানুষের মন জয় করতে চায় আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতারা বছরের পর বছর অভিযোগ করে যাচ্ছেন। অথচ তারা নিজেরাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। যাদের নিজের দলে গণতন্ত্র নেই, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন! গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন হবে নির্বাচনের মাধ্যমে কিন্তু তারা নির্বাচনে যেতে চান না। গেলেও তা লোক দেখানো এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে জিতলে বলেন, আরও বেশি ভোটে জিততে পারতেন, হারলে দায় চাপান নির্বাচন কমিশন আর সরকারের ওপর। যারা নিজেরা আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চায় সিদ্ধহস্ত, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাই আবারও বলব, গণতান্ত্রিক রীতি এবং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের মানুষকে লজ্জা আর হতাশার সাগরে ডুবিয়েছিল বিএনপি- উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বরপুত্র হাওয়া ভবনের নামে প্রতিষ্ঠা করেছিল এক খাওয়া ভবন। বিএনপি দেশ-বিদেশে কোথায় বৈঠক করছে, কী ষড়যন্ত্র চলছে তার খবর অজানা নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ আবার লকডাউনে যাওয়ার কথা ভাবছে। আমাদের দেশে মৃত্যুর হার ও আক্রান্ত কম বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। শীতকাল আসন্ন, শীতে সংক্রমণ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন। অথচ আমাদের উদাসীনতা দেখলে মনে হয় করোনা বলে কিছু নেই। অনেকে মাস্ক পরে না। আসন্œ ঝুঁকি মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শীতকালে ঝুঁকি কমাতে সর্বোচ্চ সচেতনতা আমাদের সুরক্ষার হাতিয়ার।

সর্বশেষ খবর