সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
ক্যাসিনোকান্ড

চার সরকারি কর্মকর্তাসহ আটজনের সম্পদের হিসাব চায় দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাসিনোকা-সহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চার সরকারি কর্মকর্তা ও চার ঠিকাদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক নোটিস পাঠানো হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ (পরিচালক) কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্পদের নোটিস দেওয়া হয়েছে তারা হলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, গণপূর্তের সার্কেল-৪ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের খাদ্য পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর কর্মকর্তা শেখ কুদ্দুস আহমেদ, মুন্সীগঞ্জের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু, চট্টগ্রামের পটিয়ার ঠিকাদার নুর উর রশীদ চৌধুরী এজাজ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ঠিকাদার জাকির হোসেন ও ঠিকাদার আবদুস সালাম। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিসে ওই আটজন ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেফতার হন। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। এ পর্যন্ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেশকিছু মামলা দায়ের করে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর