জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি বলেছেন, সংবিধানের ৭০ ধারা সংসদীয় সরকারব্যবস্থাকে বিকলাঙ্গ করেছে। এ ধারার কারণে সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। আর এ কারণেই সংসদে একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ’৯০ সালে পল্লীবন্ধু এরশাদ তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু ’৯১ সালে তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি-শাসিত সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গতকাল বনানী অফিস মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক পার্টির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শ্রমিক পার্টি সভাপতি এ কে এম আসরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সহসাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ শান্তর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রমুখ।
প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, বেলাল হোসেন, এম এ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
জি এম কাদের বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধানই সরকারপ্রধান হচ্ছেন, তিনি যা বলবেন তাই হবে। কারণ, দলের বাইরে কথা বললে সংসদ সদস্যের পদ চলে যাবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে যেমন উন্নয়ন করেছে, তেমনি বিভিন্ন কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের মনে কষ্ট দিয়েছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের কথা বেশিদিন মনে রাখে না কিন্তু কষ্টের কথা দীর্ঘদিন মনে রাখে।তিনি বলেন, বিএনপি চরম নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। দেশের মানুষও বিএনপিকে নিয়ে হতাশ। এমন বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি জনগণের আস্থার একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ চায় জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী হোক, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক।