শিরোনাম
বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের অতিদ্রুত ভাসানচরে স্থানান্তর করা প্রয়োজন

জুলকার নাইন

রোহিঙ্গাদের অতিদ্রুত ভাসানচরে স্থানান্তর করা প্রয়োজন

মে. জে. মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী শিকদার  (অব.) বলেছেন, রোহিঙ্গাদের অতিদ্রুত ভাসানচরে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। নিরাপত্তার সংকট থেকে শুরু করে বহুবিধ শঙ্কা ক্রমান্বয়ে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাইলে এর বিকল্প নেই। আর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের না যাওয়ার পেছনে একটিও যুক্তিসংগত কারণ নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, মানবিকতার দিক থেকে একজন আশ্রয়প্রার্থীর যত কিছু প্রয়োজন সবই ভাসানচরে নিশ্চিত করা হয়েছে। খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, যোগাযোগ, শিক্ষা সবই নিশ্চিত করা হয়েছে। টেকনাফ-উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের যত ক্যাম্প আছে তার থেকে শতগুণ সুযোগ-সুবিধা আছে এই ভাসানচরে। জাতিসংঘ বা সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস বাসস্থান করা হয়েছে, হেলিপ্যাড করা হয়েছে। এমন কিছু নাই যে সেখানে করা হয়নি। তাহলে সেখানে না যাওয়ার কী কারণ থাকতে পারে। আসলে দুই শ্রেণির লোক রোহিঙ্গাদের এখানে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ক্যাম্পগুলোতে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলো মাদকদ্রব আদান-প্রদান ব্যবস্থা, নারী পাচার ও অস্ত্র চোরাচালানির ব্যবসায় মত্ত হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলোই সাধারণ রোহিঙ্গাদের নানান ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভাসানচরে যাওয়া থেকে বিরত রাখছে। কারণ ভাসানচরে গেলে তাদের এই ধরনের অপকর্ম করার সুযোগ থাকবে না। অন্যদিকে, কিছু বিদেশি দাতাসংস্থা মানবতার খাতিরে কাজ করলেও আসলে তারা বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে তারা তৎপর হয়েছে। তারা ভাসানচরের নিরাপত্তা বলয় ও নিয়ন্ত্রিত জীবনাচারণ দেখে স্বার্থ হাসিল না হওয়ার ভয় পাচ্ছে। এ জন্যই তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছে। এখনকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বিশৃঙ্খলা, গোলাগুলি জিইয়ে রাখতে পারলে এসব পরাশক্তির স্বার্থ রক্ষা সহজ হয়। তাই এসব শক্তি একতরফা বক্তব্য দিচ্ছে। মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্বের কথা চিন্তা করতে হবে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে এখন শক্তভাবে কথা বলতে হবে এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর