বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিন বিজনেস টক

স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গড়তে কাজ করছি

-শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গড়তে কাজ করছি

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গড়তে আমরা কাজ করছি। গত পাঁচ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে সূচক প্রায় ১ হাজার পয়েন্ট বেড়েছে। বৃহৎ মূলধনি নতুন কোম্পানি শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারিসহ তিনটি বড় কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিয়ে আমরা বাজারে কাজ করব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন বিজনেস টক ‘ধসে পড়া পুঁজিবাজার : উত্তরণে উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন শামিমা দোলা। শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন এখন ভালো চলছে। অনেক কোম্পানির পরিচালক শেয়ার কিনছেন। বাজারে নতুন নতুন কোম্পানি নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছি। গত পাঁচ মাসে ১০টি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছি। এখনো ১০-১২টি কোম্পানি পাইপলাইনে আছে। এ ছাড়া নতুন একটি ব্যাংক বাজার তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। একটি শক্তিশালী বাজার গড়তে সবকিছুই আমরা করব। তিনি বলেন, সব কোম্পানি পরিচালককে নিয়মকানুন মানতে হবে। যেসব পরিচালকের ন্যূনতম শেয়ার ছিল না তাদের পদচ্যুত করা হয়েছে। সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ বাধ্যতামূলক মানতে হবে। ইতিমধ্যে তিনটি কোম্পানি আমাদের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা রয়েছে বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই এ সময় আরও এক মাস বাড়ানো যেতে পারে। তিনি বলেন, মার্জিন লোনের সুদহার এখন যা রয়েছে তা মওকুফের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তবে এ সুদের হার কমাতে কী করা যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। সুদের হার কমাতে হলে বিদেশি ফান্ড আনার বিকল্প নেই। এ বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুঁজিবাজারকে আরও সহজ ও শক্তিশালী করতে আমরা ডিজিটালাইজেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে আমরা বোর্ড মিটিং, এজিএম, ইজিএম করার অনুমতি দিয়েছি। এখন অনেক কোম্পানি তাদের সভাগুলো অনলাইনে করছে। এ ছাড়া কমিশনে ইতিমধ্যে ইফাইলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা রাতে ফাইল দেখে বাসায় বসেই তা অনুমতি দিচ্ছি। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশি ফান্ড পেলে মার্জিন লোনের সুদ কমবে। মার্জিন লোনের সুদহার এখন যা রয়েছে তা মওকুফের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তবে এ সুদের হার কমাতে কী করা যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর