বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনের ভ্যাকসিনই সবচেয়ে নিরাপদ

সার্টিফিকেট ব্রাজিলের

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনা প্রতিরোধে চীনা ভ্যাকসিনকেই সবচেয়ে নিরাপদ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে ব্রাজিল। চীনের এ ভ্যাকসিনটি বাজারে এনেছে সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং সিনোফার্ম। : সূত্র রয়টার্স।

ব্রাজিলের শীর্ষ বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা বুতানতান ইনস্টিটিউট গতকাল বলেছে, চীনের তৈরি প্রতিষেধকটি মানবশরীরে প্রয়োগের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। খবরে বলা হয়, চলতি বছরের শেষের দিকে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হবে। তারপরই এটি সবার জন্যে বাজারে আনা হবে। এর আগেই দুটি পর্যায়ের প্রয়োগ নিরাপদ বলে ঘোষিত হয়েছিল। এবার ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, সেখানেই নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃতি পেল ভ্যাকসিনটি। ব্রাজিলের প্রায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এরই মধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। ব্রাজিলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে সমস্ত  স্বেচ্ছাসেবককে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তাদের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন প্রতিদিন রেকর্ড করা হচ্ছে। আর তার ভিত্তিতেই আশাজনক ফল পাওয়া যাচ্ছে। সাও পাওলো গভর্নর জোয়া ডোরিয়া রীতিমতো উচ্ছ্বাসের সুরে বলেছেন, ‘করোনাভ্যাকের প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর আমরা বুঝতি পারছি, চীনের করোনাভ্যাকই সবচেয়ে নিরাপদ ও সবচেয়ে আশা জাগানো করোনা প্রতিষেধক।’  তিনি উল্লেখ করেন, সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রথম দফার ট্রায়ালেই এই ভ্যাকসিন মানবশরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে পারলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে চীনের করোনা প্রতিষেধক পুরোদমে ব্যবহার শুরু করবে ব্রাজিল। ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কেও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এরই মধ্যে ব্রাজিলের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের ৬ কোটি  ডোজ নেবে তারা। প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিনের দৌড়ে চীন-ব্রিটেনের পাশাপাশি এগিয়ে আছে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে ব্যবহারও শুরু করেছে। চীনে ৬০ হাজার রোগী নিয়েছে ভ্যাকসিন :  প্রায় ৬০ হাজার মানুষের ওপর করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে চীন। তাদের কারও মধ্যেই কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। গত মঙ্গলবার দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তিয়ান বাওগো এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক ফলাফলে দেখা  গেছে, যাদের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই নিরাপদ আছেন। এ খবর দিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন। উল্লেখ্য, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সম্ভাব্য দুটি করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এরই মধ্যে কয়েক লাখ মানুষের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে।

এছাড়া অপর একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক জানিয়েছে, বেইজিংয়ে ১০ হাজার মানুষকে তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে। চীনের কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি টাস্কফোর্সের প্রধান ঝেং ঝংওয়েই মঙ্গলবার জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৬১  কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর