বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে সহযোগিতা দেবে ভারত

-ভারতীয় হাইকমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে সহযোগিতা দেবে ভারত

ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজন এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে. দোরাইস্বামী। তিনি গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষি, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রসেসিং, বীজ প্রযুক্তি এবং ডেইরি প্রসেসিং নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকার প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রচুর কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজন এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, বিটি কটন, ভুট্টা, কাজুবাদামসহ উন্নতজাতের চারা সরবরাহ, দুগ্ধ প্রসেসিং, এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন। হাইকমিশনার বিক্রম কে. দোরাইস্বামী কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে এখন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারে। তিনি বলেন, মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি, অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, বিটি কটন, ভুট্টা, কাজুবাদামসহ উন্নতজাতের জাত ও চারা সরবরাহ, দুগ্ধ প্রসেসিং, এগ্রো প্রসেসিং সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকা গ্রহণযোগ্য নয় : এদিকে এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম (এআরএফ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও হিমাগার মালিক ও আড়তদারদের দৌরাত্ম্যে আলুর দাম কমছে না। আলুর দাম ৩৫ টাকা- এটা অনেক দাম। তারপরও বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা আরও পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করে দিলাম। কিন্তু আলুর দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা- এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ী, আড়তদাররা মুনাফা করেন, ?মুনাফা করার জন্যই ব্যবসা করছেন। কিন্তু এ সুযোগে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার চিন্তা করবেন না। মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করুন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর