ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা। তিন দিন ধরে চলা ধর্মঘটের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে সরকারের মধ্যস্থতায় মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে বৈঠকের পর তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম জানিয়েছেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের খোরাকিভাতা দিতে রাজি হওয়ায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।
১১ দফা দাবিতে গত সোমবার মধ্য রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকেন পণ্যবাহী নৌযানগুলোর শ্রমিকরা। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বিঘিœত হচ্ছিল। নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরুর পর মালিকরা বলছিলেন, শ্রমিকদের দাবি ‘অযৌক্তিক’। এ দাবি মানা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। তবে দেশের তিনটি শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও আবুল খায়ের গ্রুপ ধর্মঘট শুরুর দিনেই জানিয়ে দেয়, তারা তাদের জাহাজের শ্রমিকদের মাসিক খাদ্যভাতা দেবে। কিন্তু অন্য মালিকরা শ্রমিকদের দাবিকে অযৌক্তিক বলার পর নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেছিলেন, আপাতত খাদ্যভাতা পেলে তারা কর্মসূচি থেকে সরতে পারেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে শ্রম মন্ত্রণালয়। শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন জানিয়েছেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার সময় বৈঠকে বসেন দুই পক্ষ। বৈঠকে নৌযান মালিকদের পক্ষে কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, নৌযান শ্রমিকদের খাদ্যভাতার দাবি ‘ন্যায্য’ এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তার সমাধান করা হবে।
