শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আগামী বছর পর্যন্ত পিঁয়াজের দাম ৫৫ টাকার নিচে নামবে না

বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বিষয় নিয়ে একটি ডিজিটাল জাদুঘর নির্মাণ করবে ভারত। বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ উদ্যোগ নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশটি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে গতকাল সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ উদ্যোগের কথা জানান ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। আমরা তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, ভারত তাঁদের লোকজন না খাইয়ে আমাদের (পিঁয়াজ) দেবে না। আমরাও আগামী তিন বছরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে পিঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পিঁয়াজের দাম কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ভারত বন্ধ করে দেওয়ায় তুরস্ক, ইরান, চীন, মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। এতে আমদানি খরচ পড়ছে ৪৫ টাকা কেজি। এরসঙ্গে ভ্যাট, ট্যাক্স মিলিয়ে পাইকারিতে ৫০ টাকা দাম পড়ে। আমদানি পিঁয়াজ দিয়ে আগামী বছর পর্যন্ত পণ্যটির দাম ৫৫ টাকার নিচে নামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে গতকাল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং পিঁয়াজ রপ্তানি ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, আগাম ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ করে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যে সমস্যা হয়েছে, সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে পণ্যটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অন্তত এক মাস আগে যাতে বাংলাদেশকে নোটিস দেওয়া হয় সেই বিষয়টিও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয় নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের প্রতি। পরে সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, ‘ভারতের কাছে আমাদের যেটা দাবি, রপ্তানি বন্ধের নোটিস যদি আমরা এক মাস আগে পাই তাহলে আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করার সুযোগটা পাব।’ মতবিনিময় সভায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ভারতে ১০৯ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ভারত বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে ৫৭৭ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

 টিপু মুনশি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দিনদিন বাড়লেও বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো দূর করে পার্শ্ববর্তী দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানো হবে।’ ভারতকে একটি বড় বাজার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’ দুই দেশের সীমান্তে আরও তিনটি বর্ডার হাট উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে বলেও জানান মন্ত্রী। হাটগুলোতে উভয় দেশের মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর