শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্বাচনের আগে জমজমাট শেষ বিতর্ক

ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে আমেরিকা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হবে : বাইডেন । বাইডেন চীন-ইউক্রেনের অবৈধ অর্থ রোজগার করেন : ট্রাম্প

সাইফ ইমন

নির্বাচনের আগে জমজমাট শেষ বিতর্ক

কাজ হয়েছে মিউট সুইচে। নির্বাচনের আগে শেষ বিতর্কে সংযত আচরণ করলেন ট্রাম্প-বাইডেন দুজনই। তবে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। চীন থেকে উত্তর কোরিয়া, করোনাভাইরাস থেকে বর্ণবাদ বিতর্কে উঠে এসেছে।

টেনেসির ন্যাশভিলের বেলমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক মঞ্চে একবার ট্রাম্প ও তারপর বাইডেন তাদের উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। তবে প্রশ্নোত্তর পর্বে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। তবে এই দুই প্রার্থী নীরব ছিলেন যখন প্রেসিডেন্ট বিতর্ক বিষয়ক স্বাধীন কমিশন দুই মিনিটের জন্য তাদের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেয়। তখন তারা কোনো বাধা ছাড়াই করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।

গত সেপ্টেম্বরের প্রথম বিতর্কের তুলনায় এই শেষ বিতর্কটি ছিল অনেক শৃঙ্খলাপরায়ণ। প্রথম বিতর্কে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয় যখন উভয় প্রার্থী ক্রমাগত একে অপরকে তাদের মন্তব্য শেষ করতে বাধা দিচ্ছিলেন। গতকাল বিতর্কে জো বাইডেন ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আর চার বছর ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে আমেরিকা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। অন্য দিকে ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেনের ছেলে ইউক্রেন এবং চীনের সঙ্গে অবৈধভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে। বাইডেন চীন এবং ইউক্রেনের অবৈধ অর্থ রোজগার করেন। ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, জো বাইডেনের ছেলে হান্টারের ল্যাপটপের রেকর্ড তাঁর কাছে আছে। হান্টার ইউক্রেন এবং চীনের সঙ্গে এখনো অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। বাইডেনও সেই অর্থের ভাগ পাচ্ছেন। ট্রাম্প-বাইডেনের শেষ বিতর্কে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছিল বর্ণবাদের প্রসঙ্গ। গত বিতর্কে এই বিষয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য শুনে অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনগুলো প্রেসিডেন্টকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। বৃহস্পতিবারের বিতর্কে ট্রাম্প কোনো বিতর্কের রাস্তাতেই যাননি। দাবি করেছেন, দীর্ঘ মার্কিন ইতিহাসে তিনি সব চেয়ে নিরপেক্ষ মানুষ। বর্ণবাদ যাতে প্রশ্রয় না পায় এর জন্য সবরকম ব্যবস্থা তিনি করেছেন। লিঙ্কনকে বাদ দিলে তার মতো বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আর কেউ লড়াই করেননি। ট্রাম্প বলেন, ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স’ বলে যারা আন্দোলন করছেন, তারা কেন আন্দোলন করছেন তা বুঝতে পারছেন না তিনি। যদিও গণতন্ত্রে সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। ট্রাম্প এড়িয়ে যেতে চাইলেও বর্ণবাদ প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের আমলে বর্ণবাদ ফের আমেরিকায় মাথা তুলেছে। লিঙ্কনের সঙ্গে তুলনা করে ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসকে অপমান করেছেন। বাইডেনের বক্তব্য, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকায় প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ তৈরি হয়েছে। বাইডেন এদিন বলেছেন, আরও চার বছর ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা থাকলে আমেরিকা এতটাই ডুবে যাবে যে তাকে আবার পুনর্প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব কাজ হয়ে দাঁড়াবে। বর্ণবাদ প্রসঙ্গে অবশ্য ট্রাম্পও এদিন বাইডেনকে আক্রমণ করেছেন। মেয়র থাকাকালীন বাইডেনের একটি আইনের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেছেন, কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল বাইডেনের ওই আইন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর